পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাসে হামলা চালানো হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের চারটি বাস ভাঙচুরের শিকার হওয়ায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা কুমিল্লা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসী বলে জানা যায়। হামলায় পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থীদের রক্ষা না করে বরং শিক্ষার্থীদের উপর রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে আহত শিক্ষার্থীরা জানান। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস (কুমিল্লা স-১১-০০১১) থামাতে চালক আব্দুস সামাদকে নিদের্শ দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে কথা বলার সময় পেছন থেকে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা চালায়। পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে রাস্তার এক পাশে জড়ো করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষকদের একটি বাস (কুমিল্লা স ১১-০০০৮), কর্মচারীদের একটি বাসসহ (কুমিল্লা ঝ-১১-০০১৪) বিআরটিসির ভাড়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং পুলিশও মারধরে অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তাদের তুলে এনে মারধর করা হয়। মারধরের ঘটনায় আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রতিবর্তন’র সভাপতি ওয়াসি মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হঠাৎ বাস থামানো হয়। পুলিশ আমাদের মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বায়জিদ ইসলাম গল্প, সজিব দাস বাঁধন ও আমি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মারধরের ঘটনা জানতে চাই। তখন পুলিশ আমাদেরকে পুলিশ লাইনের ভিতরে নিয়ে মারধর করে।’
মারধরের সময় ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন বলে এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান। এবিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, ‘একটা বাসই শুধু ভাঙচুর করা হয়েছে। আর আমরা সহনীয়মাত্রায় কাজ করি। অনেক কিছুই হয়ত শোনা যাবে।’ তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কুমিল্লা সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তবে তারা জানিয়েছে যে, তাদের কোন শিক্ষার্থী এ হামলায় জড়িত নয়।’ হামলায় পুলিশের অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের উধর্¦তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।