প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন রিপোর্ট: চলচ্চিত্রে স্ক্রিপ্ট ও চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিল্পীদের বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়। গল্প এবং চরিত্র তার জন্য কতটা উপকার বা অপকার বয়ে নিয়ে আসবে, তা বিবেচনা করতে হয়। তবে মাঝে মাঝে গল্প ও চরিত্র পছন্দ করতে গিয়ে কেউ কেউ ভুল করেন। পরিচালকদের ফিরিয়ে দেন। ফলে পরিচালককে বাধ্য হয়ে অন্য শিল্পী নিয়ে সিনেমার কাজ শেষ করতে হয়। মুক্তির পর দেখা যায়, সিনেমাটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তখন যে শিল্পী চরিত্রটি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার আফসোসের সীমা থাকে না। আমাদের দেশে এমন কিছু কালজয়ী সিনেমা রয়েছে যেগুলোতে অভিনয়ের জন্য পরিচালক যে নায়িকাকে চেয়েছিলেন, তারা তা ফিরিয়ে দিয়েছে। সেসব চরিত্রে অন্যরা অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি পান। এমন কিছু সিনেমা ও চরিত্রের কথা এখানে তুলে ধরা হলো। শহীদুল্লাহ কায়সারের কালজয়ী উপন্যাস সারেং বউ নিয়ে সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রখ্যাত নির্মাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন। সিনেমাটির নবীতুন চরিত্রে তিনি পছন্দ করেছিলেন ফেরদৌসী মজুমদার। অনেক অনুরোধ করেও ফেরদৌসী মজুমদারকে তিনি রাজি করাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি ঐ চরিত্রে কবরীকে নিয়ে সিনেমাটি করেন। সিনেমাটি এবং কবরীর চরিত্রটি দর্শকরা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে। কবরীকে এখনো গ্রামবাংলায় অনেকে সারেং বউ হিসেবে চেনে। জাতিসংঘ থেকে পুরষ্কৃত পদ্মা নদীর মাঝি সিনেমায় কপিলা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রথমে সুবর্ণা মুস্তাফাকে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু সুবর্ণা রাজী হননি। ফলে এতে গৌতম ঘোষ কলকাতার রূপা গাঙ্গুলীকে নেন। মুক্তির পর দেখা গেল কপিলা চরিত্রটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। নারগিস আক্তার পরিচালিত মেঘলা আকাশ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে পছন্দ করেছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী দিতিকে। দিতি তাতে রাজী হননি। ফলে তার পরিবর্তে তিনি ঐ চরিত্রে নেন মৌসুমীকে। এই চরিত্রে অভিনয় করে মৌসুমী জাতীয় পুরস্কার পান। সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড-এর নাচোলের রাণী ও চাষী নজরুল ইসলামের সুভা সিনেমায় পরিচালকরা শাবনূরকে নিতে চেয়েছিলেন। শাবনূর এ দুটি চরিত্রের গুরুত্ব বুঝতে না পেরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে শাহানা সুমি ও পূর্ণিমা। দুজনই দারুণ প্রশংসিত হন। সালমান শাহর সাথে মনোমালিন্যের কারণে স্বপ্নের ঠিকানা সিনেমাটি ছেড়ে দেন মৌসুমী। তার পরিবর্তে নেয়া হয় শাবনূরকে। সিনেমাটি সুপার-ডুপার হিট হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।