পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা/ তাহার মাঝে আছে দেশ এক, সকল দেশের সেরা/ ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ, স্মৃতি দিয়ে ঘেরা/ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে, পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের----’ (দ্বিজেন্দ্রলাল রায়)। হৃদয় নিঙরানো দেশ প্রেমে ভরপুর দেশাত্মবোধক এই গানের পরতে পরতে যেন বাংলাদেশের বর্তমান চালচিত্র বিদ্যমান। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সোনালী-সবুজ ধানের ক্ষেত। কাটাই-মাড়াই চলছে। রোদবৃষ্টিতে ঘাম ঝড়িয়ে চাষাবাদ করা ধান নিয়ে স্বপ্ন বোনেন কৃষাণ-কিষানী। ধান তুলে মেয়ের বিয়ে দেবেন, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, নতুন জামা-কাপড়, চিকিৎসা, স্বাদ-আহ্লাদ মেটাবেন। অথচ ধানের উৎপাদিত মূল্য না পাওয়ায় সেই স্বপ্ন স্মৃতি হয়েই থাকছে। আবার অপ্রিয় হলেও সত্য পৃথিবীতে এমন দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন; যে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে প্রতিবেশির স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। নতুন ধানের মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে প্রতিবেশি দেশ থেকে চাল আমদানী করে নিজ দেশের কৃষক পল্লীতে হাহাকার সৃষ্টি করার নজীর পৃথিবীর কোনো দেশে আছে কী? দেশে সেটাই ঘটেছে।
কৃষি প্রধান এই দেশে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষকের যাপিত জীবনে সবকিছুই ধানকে ঘিরে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার মানুষ পার্বনে-উৎসবে ‘বোনাস’ ‘বাড়তি অর্থ’ ইত্যাদি পেলেও কৃষকের ধানই সব। বছরের খোরাক, মেয়ের বিয়ে, ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, চিকিৎসা, সামাজিকতা রক্ষা সবকিছু নির্ভর করে ধানের ওপর। রোদবৃষ্টিতে কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে স্বপ্ন দেখেন আগামীর। যে দেশের মানুষের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেই কৃষকদের স্বার্থ দেখার যেন কেউ নেই। সরকার, এনজিও, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, শিল্প সংস্কৃতির মানুষ কেউ কৃষকের স্বার্থের কথা বলছেন না, কোনো কিছু করছেন না। ‘মুখে মধু অন্তরে বিষ’ এর মতো রাজনীতিকদের কেউ কেউ কৃষকের কথা বললেও আমলাদের প্যাচে পড়ে তারা বুঁদ। দেশের রাজনীতিকদের মতোই প্রশাসনের কিছু আমলা দেশের চেয়ে ‘প্রতিবেশি দেশের প্রতি অধিক আনুগত্যশীল’ হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের স্বার্থই বেশি দেখে থাকেন। যার জন্যই বাম্পার ফলনের পরও দেশের কৃষক পল্লীগুলোতে হাসির বদলে চলছে চাপা কান্না। হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে ধান উৎপাদন করেও দাম পাচ্ছেন না। যারা ব্যাংক-এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদের ঋণ নিয়ে ফসল ফলিয়েছেন তাদের অবস্থা আরো করুন।
ভৌগলিক অবস্থান এবং আবহাওয়া-জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রকৃতিক ও ভুমির অবস্থান প্রায় অভিন্ন। এ জন্যই চাষাবাদের ক্ষেত্রে দুই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় মৌসুমী ধান একই সঙ্গে রোপন-পরিচর্যা ও কাটামারাই হয়। এবারও তাই হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলন হলেও বাংলাদেশের কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। কারণ বোরো মৌসুমের কাটা-মারাই শুরুর আগে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমান চাল আমদানী করে গুদাম ভর্তি করা হয়েছে। বলাবাহুল্য এই আমদানীর বৃহৎ পরিমাণ চাল আনা হয়েছে ভারত থেকে। চাল রফতানির মাধ্যমে গোডাউন খালি করে দেশটি নিজ দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কিনছে। ভারত থেকে চাল আসায় গোডাউন ও মিল মালিকদের গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকায় তারা আমাদের দেশের কৃষকদের কাছ থেকে নতুন ধান ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে প্রত্যাশার চেয়ে কম মূল্যে কৃষক ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে পণ্যমূল্য। চাহিদা বেশি সরবরাহ কম হলে পণ্যের দাম বাড়ে, চাহিদা কম এবং সরবরাহ বেশি হলে পণ্যমূল্য কমে। বোরোর ভরা মৌসুমের আগে ভারত থেকে চাল আমদানী করায় দেশের ধানের দাম পড়ে গেছে। স্বপ্ন পূরণ, লাভ দূরের কথা ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ না ওঠায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। সারাদেশের কৃষকদের প্রায় একই অবস্থা। প্রশ্ন হলো রাষ্ট্র ও সরকারের দেশের ৮০ ভাগ মানুষের স্বার্থ নিয়ে অবহেলা কেন? একই সময়ে দুই দেশে উৎপাদিত হয় ধান। ভারতের কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য ভারত থেকে চাল আমদানী করে ওই দেশের কৃষকের স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করছি! আর নিজ দেশের কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হা-হুতাশ করছে।
দেশের কয়েক লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্য দফায় দফায় বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন বোনাস ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে বাহবা নেয়া হচ্ছে; ব্যবসায়ীদের প্রণোদনাসহ নানান সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অথচ কৃষকদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। তারপরও কৃষকরা উৎপাদিন পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। কৃষকরা কী দেশের নাগরিক নয়? যে কৃষকের কঠোর পরিশ্রমে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তাদের দিকে তাকানোর কী কেউ নেই?
হাওরে গত মৌসুমে আগাম বন্যা হওয়ায় সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট, ময়মনসিংহসহ কয়েকটি জেলায় ফসল নষ্ট হয়েছে। সারাদেশে দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ফসলের ক্ষতি হয়েছে আরো কয়েকটি জেলায়। বিগত মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা এবার ক্ষেতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সার, তেল, বিদ্যুতের দাম বেশি হলেও কৃষকের পরিশ্রম, বন্যায় প্রকৃতির দান মাটির উপরি ভাগে ফেলে যাওয়া পলির কারণে ফলন হয়েছে বাম্পার। আবহাওয়া বার্তায় এবারও আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেন। কিন্তু বাজার মন্দা। বাজার দর না পাওয়ায় তারা উৎপাদিত ধান নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাদেশে চাল আমদানীর এক ভয়াবহ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত ৮ মাসে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মোট আমদানিকৃত খাদ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০ লাখ মেট্রিক টনে। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলাকে জানিয়েছেন, দেশে আকস্মিক বন্যার কারণে ফসলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো তা কাটিয়ে উঠতে এবং কোন অসাধু চক্র যেন ঘাটতির নামে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে সে কারণে সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে দুযোর্গ নতুন কিছু নয়। বরং নির্বাচনের বছরকে সামনে রেখেই এই আমদানি বাড়ানো হয়েছে।
মিডিয়ায় খবর হলো- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন চাল আমদানির। আমদানি হয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন। ২০১৭ সালের খোলা এলসির চালও এসেছে। মিডিয়ার আরো খবর- ভারত থেকে আমদানিকৃত চালে বাজার ভরে গেছে। বোরো মওসুম শুরুর ঠিক আগ মূহুর্তে ভারতসহ বিদেশ থেকে চাল আমদানির রহস্য কী? ভারত কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে বাংলাদেশসহ বিদেশে চাল রফতানী করে নিজেদের গুদাম খালি করেছে। বোরো মৌসুমে নতুন ধান কিনে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। ওই দেশের কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। অথচ আমদানী করা চালে সরকারি গুদাম ও মিল মালিকদের গোডাউন ভর্তি থাকায় বাজারে আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত নতুন ধানের চাহিদা কমে গেছে। ভরা মৌসুমে বাজারে চাহিদার থেকে সরবরাহ বেশি হওয়ায় তারা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ধান চাষ করে কৃষকরা যেন চরম দুর্দশা ও অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন। বীজতলা তৈরি, ধানের চারা রোপন, পরিচর্যা, সার পানি কীটনাশক দেয়া এবং কাটা, মাড়াই ও শুকানোয় শ্রমিক-মজুরি বেড়ে গেছে। এক মন ধান উৎপাদনে এলাকা ভেদে খরচ হয় সাড়ে ৬’শ থেকে সাড়ে ৭’শ টাকা। একমন ধান বিক্রি করতে হচ্ছে এলাকা ভেদে সাড়ে ৫শ থেকে সাড়ে ৬’শ টাকায়। অধিক ফলনের পরও কৃষকের মুখের হাসি হারিয়ে গেছে। ধান বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে, স্বাদ-আহ্লাদের ‘স্বপ্ন কৃষকের দুঃস্বপ্নে’ পরিণত হয়েছে। লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচ না উঠায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন, বিচলিত ও দিশেহারা। হাওরে ঢল ও উত্তরাঞ্চলে দফায় দফায় বন্যায় আগের মৌসুমে ধান না হওয়ায় অনেক কৃষক ব্যাংক ঋণ, এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছে চাষাবাদ করেছেন। কেউ কেউ অধিক সুদে দাদনের ওপর টাকা নিয়ে জমিতে ফসল ফলিয়েছেন। ধান চাষ করে ঋণে জর্জরিত অথচ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য কম। ফলে তাদের যাপিত জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার উপক্রম হয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি সংক্রান্ত ডায়েরীর পাতা খুললে দেখা যায় উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেলে কৃষকরা সে পণ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে অন্য পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। উদ্দেশ্য উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য। বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। ’৯০ দশকে আদমজীসহ কয়েকটি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পাটের চাষ ও উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশ থেকে চিনি রফতানী বৃদ্ধি এবং দেশের চিনিকল থেকে উৎপাদিত চিনি গোডাউনে রাখায় আখ বিক্রিতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। উৎপাদিত আখের মূল্য না পাওয়ায় কৃষক আখের আবাদ কমিয়ে দিয়েছে। গমের আবাদও এখন অনেক কমে গেছে। কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে ধানের চাষও কমিয়ে দিতে বাধ্য হলে ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দেশ’ শ্লোগান কী কোনো কাজ দেবে? নাকি কৃষকদের ধান উৎপাদনে নিরুস্বাহিত করতে এমন পরিস্থিতি!
প্রবাসীদের টাকা আর গার্মেন্টস দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ালেও দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ৬০ শতাংশেরও বেশি। প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ কর্মসংস্থানেও কৃষির অবস্থান শীর্ষে। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষিই অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকায় যারা চাকরি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন; তারাও কোনো না কোনো ভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। রাজধানী ঢাকা শহরে বসবাস করলেও শেকড় গ্রামে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই কৃষির উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি। বাস্তব চিত্র হলো দেশে কৃষি ও কৃষকই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। কৃষকের স্বার্থ রক্ষা কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করা না গেলে দেশের যর্থাথ উন্নয়ন ও আমজনতার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন অসম্ভব্য। যারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে; ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে; তাদের দুর্দশায়-অনিশ্চয়তায় রেখে জাতীয় উন্নয়ন কী সম্ভব? ভারত নিজ দেশের কৃষকের স্বার্থেই মৌসুম শুরুর আগে চাল রফতানি করে গোডাউন খালি করে নতুন ধান কিনছে। অথচ আমরা ভরা মৌসুমের আগে সে চাল আমদানী করে তাদের হাতে টাকা তুলে দেই; নিজ দেশের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে হন বঞ্ছিত। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।