Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে পরিকল্পনা করা হয় বাজেট দেখে, মানুষ দেখে নয় যে পরিকল্পনায় মানুষ থাকে না, তাতে সুফল পাওয়া যায় না

উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:২২ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে পরিকল্পনা মাফিক কাজ না হওয়ার কারণে যথাযথ উন্নয়ন হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেয়া হলেও রাজনৈতিক কারণে তা বাধার মুখে পড়ছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জনগণের সাথে আলোচনা ছাড়াই ঘরে বসে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এতে কার্যকর কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পরিকল্পনাবিদদের মধ্যস্ততাকারীর ভুমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব পানার্স (বিআইপি) ও খুলনা ইউনিভার্সিটি প্লানার্স অ্যালমুনাই (কুপা) যৌথ উদ্যোগে বিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ : পরিকল্পনাবিদদের ভুমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিআইপির সভাপতি প্রফেসর ড. একেএম আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও কুপার সভাপতি এস এম মেহেদী আহসানের সঞ্চালণায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান। বক্তব্য রাখেন, ইউএনডিপির জাতীয় নগর দারিদ্র হ্রাস প্রকল্পের ম্যানেজার জন টেইলর, বিআইপির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আকতার মাহমুদ, নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক, বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ড. আদিলুর রহমান খান, রাজউকের ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, কুপার সদস্য তামান্না বিনতে রহমান, পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইউএনডিপির সাসটেইনেবল রিনিউয়েবল এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন প্রজেক্টের ম্যানেজার ড. তাইবুর রহমান।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, দেশে পরিকল্পনামাফিক কাজ না হওয়ার কারণে আমাদেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরিকল্পনার সমন্বয় করতে না পারলে যে তিমিরে আছি সে তিমিরেই থেকে যেতে হবে। তিনি বলেন, দেশে আমদানির তুলনায় রফতানির পরিমাণ খুবই কম। বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকান্ডের যন্ত্রপাতি আমদানি করার কারণে বৈষম্য বেড়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা বিক্রি করে পার্থক্য কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
জন টেইলর বলেন, সরকার ও জনগণের মধ্যে আন্তঃসংযোগ না থাকলে কোন উন্নয়ন কাজই টেকসই করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদরা সরকার ও জনগণের মধ্যে মধ্যস্তাকারীর ভুমিকা পালন করতে পারে।
ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক বলেন, দেশের ৬ দশমিক ৭০ ভাগ এলাকা বর্তমানে পরিকল্পনার আওতায় এসেছে। ঢাকার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা শহর নিয়ে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে রাজনৈতিকভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়। কারণ রাজনীতিবিদরাই শহরের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি বলেন, দেশে পরিকল্পনা বিষয়ে কোন আইনই নেই। জেলা-উপজেলায় কোন পরিকল্পনাবিদও নেই। এজন্য বিভাগ ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লোক নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আইন তৈরির কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনাবিদরা দেশের উন্নয়নে অনঘটকের কাজ করতে পারে। তারা দেখিয়ে দেবে কোথায় কি হবে, কিভাবে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন করবে।
ড. আদিলুর রহমান খান বলেন, দেশে পরিকল্পনা করা হয় বাজেট দেখে, মানুষ দেখে নয়। যে পরিকল্পনায় মানুষ থাকে না, সেই পরিকল্পনাই কখনোই সুফল পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রন করেন। কিন্ত তারা কতটুকু করবেন তার মাত্রা ঠিক করা উচিত। এলাকাভিত্তিক বাজেটের ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাতে হবে। ব্রিফকেস পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশে

৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৫ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ