Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ইসি পুনর্গঠনের দাবি ব্যারিস্টার মওদুদের

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ।
কিন্তু এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভবপর হবে না। সেই জন্য এ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যারা দলীয় কোনো পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে। তাদের দিয়েই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আনতে হবে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমরা যতই জাতীয় নির্বাচনের কাছাকাছি যাচ্ছি এই সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যত রকমের কৌশল করা যায়, সেগুলো তারা করছে। যাতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়। অর্থাৎ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে বাংলাদেশের মানুষ না পায়। বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যাতে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার সমস্ত আয়োজন আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বার বলেছি এবং আবারও বলছি, নির্বাচন কমিশন যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে সবগুলো সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের জয়লাভ করানোর জন্য। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, আমাদের সমস্ত রকমের অসুবিধা সৃষ্টি করার জন্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধানের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে সীমা নির্ধারণের চূড়ান্ত যে সংশোধনী তারা (নির্বাচন কমিশন) ছাপিয়েছেন তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং এ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এই জন্য যে, তাদের পক্ষে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সরকারসমর্থিত প্রার্থীরা এবং তাদের সমর্থকরা অব্যাহতভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে আমরা নির্বাচনে যেতে চাইলেও না যেতে পারি। সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের সুবিধার জন্য সীমানা পুনর্র্নিধারণে ব্যবস্থা তারা (নির্বাচন কমিশন) করেছে, এটা তারই প্রমাণ। সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বারবার প্রমাণ করে চলেছে যে, এ কমিশন সরকারেরই একটি আজ্ঞাবাহক প্রতিষ্ঠান। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে কোনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভবপর নয়।
সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব, আমিসহ আমাদের অনেক নেতার এলাকা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাইলেও যেতে না পারি। সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের সুবিধা সৃষ্টি করার জন্য এই নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ হয়েছে। নিজের নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-৫ এর বিষয়ে মওদুদ বলেন, এই আসন থেকে আমি ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রায় ৩৯ বছর যাবৎ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট পৌরসভা, কবিরহাট উপজেলা, কবিরহাট পৌরসভা ও সদর পূর্বাঞ্চলের দুইটি ইউনিয়ন সমন্বয়ে এই সংসদীয় আসন। সদর পূর্বাঞ্চলের দুটি ইউনিয়ন ‘অশ্বদিয়া ও নেওয়াজপুর’ ইউনিয়নকে সরকারি দলের প্রভাবশালী প্রার্থী, যারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনাভোটে নোয়াখালী-৪ ও ৫ আসনের এমপি পদ লাভ করেছেন, তাদের সুবিধার্থে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে কেটে নোয়াখালী-৪ আসনের অধীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মওদুদ বলেন, আমার এলাকার হাজার হাজার মানুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ হবে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা।
সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাসুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ