পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সামরিক ও বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীলতা কাটাতে উচ্চাভিলাষী উপগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের নিজস্ব মহাকাশ সংস্থা স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফেয়ার রিসার্চ কমিশন বা সুপারকো ২০১৮-১৯ সময়কালে ৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট পাচ্ছে। এই পরিকল্পনায় ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরে পাকিস্তান মাল্টি-মিশন স্যাটেলাইট-সংক্রান্ত মহাকাশ কেন্দ্র এবং করাচিতে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। অবশ্য এই তিন প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় হবে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পাকিস্তানের যোগাযোগ উপগ্রহ পাকস্যাট-১আর পাকিস্তানের সাথে যৌথভাবে উৎক্ষেপণ করেছে চায়না গ্রেট ওয়াল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন, ২০১১ সালে। লেখক, বিশ্লেষক ও ইসলামাবাদে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রায়ান ক্লুগলে বলেন, মার্কিন-নির্ভর উপগ্রহ কর্মসূচি থেকে বের হয়ে আসা প্রতিটি দেশের জন্যই অপরিহার্য। তিনি বলেন, অবশ্য এটি করার জন্য অনেক সময় চীনারা সহায়তা করে থাকে। ডিফেন্স নিউজ এর আগে জানিয়েছিল, চীনের বেইদো উপগ্রহ ব্যবস্থায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। তুরস্কের সাথে পাকিস্তানের দীর্ঘ মেয়াদি উপগ্রহ উন্নয়ন চুক্তি রয়েছে। তুরস্ক স¤প্রতি নিজস্ব পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ কর্মসূচি চালু করেছে। ব্রায়ান ক্লুগলে বলেন, পাকিস্তান উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এর ফল পেতে তাদেরকে বেশ অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, এ কারণে চীনের ওপর পাকিস্তানের নির্ভরতা বাড়বে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্নও রয়েছে। তা হলো পাকিস্তান এ খাতের জন্য কোথা থেকে অর্থ পাবে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুব একটা ভালো নয়। আবার চীনা প্রযুক্তি পাকিস্তানের চাহিদা কতটুকু মেটাতে পারবে, তাও অনিশ্চিত। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।