পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৈয়দ মাহাবুব আহামেদ, রাঙামাটি থেকে : রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (গণতান্ত্রিক) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ ৫জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয়জন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বেতছড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, ইউপিডিএফ’র (সংস্কার) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা তার সমর্থকদের নিয়ে গাড়িতে করে নিহত শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরছিলেন। নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ির কেরাঙ্গাছড়িতে পৌঁছালে তাদের বহরের একটি মাইক্রোবাস ঘিরে ব্রাশ ফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। আর খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান দু’জন। নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক (সংস্কার) প্রধান তপন জ্যেতি চাকমা (৫২), ইউপিডিএফ সংস্কার সমর্থিত যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চাকমা (৩০), একই সংগঠনের মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি তনয় চাকমা (৩১), সেতু লাল চাকমা (৩৬) এবং মাইক্রোবাসের চালক মো. সজিব (৩৫)। নিহতদের মধ্যে দুইজনের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তারা হলেন- সেতু লাল চাকমা ও মাইক্রোবাস চালক মো. সজিব। আর বাকিদের লাশ আনা হয়েছে রাঙামাটিতে। আহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- দিগন্ত চাকমা (২৩), অর্চিন চাকমা (২৯), অর্জুন চাকমা (২৩), মিহির চাকমা, জীবন্ত চাকমা (৩০) ও শান্তি রঞ্জন চাকমা (২৫)। তাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন, গুলিতে নিহত দুইজনকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আনা হয়েছে। আর আহত চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিপক্ষ পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস(এমএন লারমা) এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এই ঘটনার রেশ কাটতে নাকাটতেই মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শক্তিমানের অন্তষ্ট্যেক্রিয়া অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আবারো সেই একই পক্ষের অতর্কিত ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা ও জেএসএস এম এন লারমা সমর্থিত ৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। ঘটনার সময় বিভক্ত আরো দু’অস্ত্র ধারী হামলাকারী গ্রæপ সে গাড়ীতে গুলিবর্ষণ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এ ঘটনার জন্য সংগঠনটি প্রতিপক্ষ গ্রæপ প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে।
নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, হতাহতদের ব্যাপারে সরেজমিনে দেখতে রাঙামাটি সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মোঃ জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে। তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে ২৪ ঘন্টায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়িরবেশ কয়েকটি এলাকায় পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সাথে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফসহ সংস্কারপন্থী জেএসএস(এমএন) এর ব্যাপক বন্দুক যুদ্বের ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পাহাড়ের অনেকগুলো স্থানে যেকোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ির সেনবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
নানিয়ারচরে গুলিবিদ্ধ ৪ জন চমেক হাসপাতালে
চট্টগ্রাম ব্যুরো : রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (গণতান্ত্রিক) গুলিবিদ্ধ চারজনকে গতকাল (শুক্রবার) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, খাগড়াছড়ির মুঙ্গাছড়ির ল²ীপুর চাকমার ছেলে অর্জুন চাকমা (২৪), মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকার রাজ চাকমার ছেলে দিগন্ত চাকমা, দেওয়ানপাড়ার কদম চান চাকমার ছেলে মিহির চাকমা ও বনমোহন চাকমার ছেলে অরসিং চাকমা। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, গুলিবিদ্ধ চারজনকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল উপজেলার বেতছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক (সংস্কার) প্রধান তপন জ্যেতি চাকমা (৫২), ইউপিডিএফ সংস্কার সমর্থিত যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চাকমা (৩০), একই সংগঠনের মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি তনয় চাকমা (৩১), সেতু লাল চাকমা (৩৬) এবং মাইক্রোবাসের চালক মোঃ সজিব (৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, ইউপিডিএফ’র (সংস্কার) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা তার সমর্থকদের নিয়ে গাড়িতে করে নিহত শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরছিলেন। নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ির কেরাঙ্গাছড়িতে পৌঁছালে তাদের বহরের একটি মাইক্রোবাস ঘিরে ব্রাশ ফায়ার করে সন্ত্রাসীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।