পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জন্য শতকরা ২০ ভাগ বাজটে বাড়ানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে দেশটি চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ দিয়েছে এক ট্রিলিয়ন ১০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। মুসলিম লীগের(এন) চলতি মেয়াদে প্রতিরক্ষা খাতে এটাই সবথেকে বড় বাজেট বৃদ্ধির ঘটনা। এবারই প্রথম পাকিস্তানের বাজেট ট্রিলিয়ন রুপির কোটা ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সামরিক খাতে পাকিস্তানের বরাদ্দ ছিল ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সে তুলনায় গত পাঁচ বছর পর এবার শতকরা ৮৪ ভাগ বরাদ্দ বেড়েছে। মোট বরাদ্দের মধ্যে পাক সেনাবাহিনী পাচ্ছে শতকরা ৪৭ ভাগ, বিমান বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ২০ ভাগ এবং নৌবাহিনীর জন্য শতকরা ১০ ভাগ থাকবে। বাকি অর্থ প্রতিরক্ষা বিভাগের কোন খাতে ব্যয় হবে তা প্রকাশ্যে আসেনি। এমন সময় ব্যাপক পরিমাণে পাকিস্তানের সামরিক বরাদ্দ বাড়ালো হলো, যখন বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। সামরিক খাতে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা হ্রাস এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মুসলিম লীগ-এন সরকারের অস্বস্তিকর সম্পর্ক থাকার পরও বাজেট বাড়ানোর ঘটনাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে যখন পাকিস্তানের নানা কারণে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে এবং ওয়াশিংটন সামরিক খাতে ইসলামাবাদকে কথিত সহযোগিতা কমিয়ে দিচ্ছে, তখন পাক সরকার সামরিক বাজেট বাড়াল। এ ছাড়া পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মুসলিম লীগ-এন সরকারের অস্বস্তিকর সম্পর্ক থাকার পরও বাজেট বাড়ানোর ঘটনাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এবারই প্রথম পাকিস্তানের বাজেট ট্রিলিয়ন রুপির কোটা ছাড়িয়ে গেল। ডন, এএফপি।
দেয়াল নির্মাণে তহবিল না দিলে দেশ অচলের হুমকি ট্রাম্পের
ইনকিলাব ডেস্ক : মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির জন্য আরো তহবিল অনুমোদন দেয়া না হলে আগামী সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার মিশিগানের ওয়াশিংটনে এক প্রচারণা র্যালিতে এ হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দেয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের ১.৬ বিলিয়ন (ডলার) রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বর ২৮ তারিখের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি সীমান্তে নিরাপত্তা না পাই আমাদের অন্য কোনো উপায় থাকবে না। আমরা দেশ অচল করে দেব, কারণ আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তা দরকার।’ এর আগে গত মার্চের মধ্যে অভিবাসন আইনে পরিবর্তনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে একই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এর সমর্থনে জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত অচলাবস্থারও সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি ছিল, অভিবাসন আইনে পরিবর্তন হলে যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধী প্রবেশ বন্ধ হবে। মেক্সিকো দেয়াল তৈরিতে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মেয়াদ পর্যন্ত খরচের জন্য গত মাসে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন করে তহবিল অনুমোদন না দিলে দেয়াল তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন। সেখানে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চাইছে রিপাবলিকানরা। তাই তারা যে সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন তা অনেকটাই অনুমেয়। মধ্য যুক্তরাষ্ট্রর হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টায় মেক্সিকো হয়ে কাফেলায় করে সীমান্তে আসছেন। ট্রাম্প এটিকে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য শক্তিশালী একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কাফেলাগুলো দেখুন। দেখুন কতটা দুঃখজনক ও ভয়াবহ এগুলো। এসব করতে গিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের ওপর ও অন্যদের দ্বারা নানা দুর্দশা ও অপরাধের শিকার হচ্ছেন।’ রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।