Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সারাদেশে বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:৪৮ পিএম | আপডেট : ৬:৩৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮

সিরাজগঞ্জে ৫ জনসহ সারাদেশে বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ও দুপুরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় বজ্রপাতে পিতা-পুত্র ও কলেজ ছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্ঠিত তেকানী চরে বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানায়, কাজিপুর উপজেলার তেকানী চরে সকালে সামছুল হক (৫০) ও তার ছেলে আরফান (১৪) বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ের সময় বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার ছয়আনা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুকের ছেলে নাবিল খান (১৭) ও রাশিদুল হাসানের ছেলে পলিং (১৭) নামের দুই যুবক ঝড়ো বৃষ্টি হওয়ার সময় উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে একই উপজেলার বাজার অঞ্চলে বজ্রপাতে রিয়াজ হোসেন (১৮) ও সাব্বির আহত হয়েছে। অপর দিকে কামারখন্দ উপজেলার পুস্কুরিকুড়া গ্রামে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল কাদের (৩৭) নামের এক কৃষক মারা যায়। নিহত কাদের হাসন উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের পুস্তককুড়া গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে কৃষক কাদের হোসেন বাড়ির পাশে ধান কাটতে মাঠে যান। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘাষণা করেন। কামারখদ উপজলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মেডিকল অফিসার ডা. তানসিলা কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মাগুরা সদর অক্কুর পাড়া ও রায়গ্রাম এবং শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন- অক্কুর পাড়ার ভ্যানচালক শামীম, ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম ও জয়পুরহাটের মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী। মাগুরা সদর থানা পুলিশের এসআই আশ্রাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায় বলে নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার।

নওগাঁর সাপাহারে বজ্রপাতে গৃহবধূ সোনাভান (২৪) মারা গেছেন। এ ঘটনার তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা শিরন্টি ইউনিয়নের শিমলডাঙ্গা রামাশ্রম গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- নিহতের স্বামী রুবেল হোসেন (২৮), সালেহা বিবি (৪২) ও শিশু রাজু (১২)। সাপহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক কারখানার এক চেকম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে মাটিকাটা এলাকায় ইনক্রেডিবল ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। কালিয়াকৈর শিল্প পুলিশের সহকারী উপ-পরির্দশক (এএসআই) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মনছুরা বেগম বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের (ওসি) আমির হোসেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে রাঙ্গামাটির উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা মনছুরা বেগম বজ্রপাতে মারা যান।

এদিকে, নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্কুল বন্ধ থাকায় সহপাঠীদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে পিয়াল (১৩) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের বশিরার দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি খেলার মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পিয়াল নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের সোহেল রানার ছেলে। তিনি নোয়াখালী জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সুধারাম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক লিটন সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বজ্রপাত

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ