পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রলয়-ভয়াল স্মৃতিবিজড়িত সেই ২৯ এপ্রিল আজ। শতাব্দীর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে ১৯৯১ সালের কালোরাতে দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে কক্সবাজার থেকে ভোলা পর্যন্ত বিশাল জনপদ ছারখার হয়ে যায়।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় এবং ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছাসের ছোবলে সরকারি হিসাবে ১ লাখ ৩৯ হাজার, বেসরকারি হিসাব মতে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ অসহায়ভাবে মারা যায়। মানুষ আর পশুর লাশ এক সাথে ভাসে। আহত হয় দু’লাখেরও বেশি। পঙ্গু হয় কয়েক হাজার। দেড় লাখ গবাদিপশু ভেসে যায়। প্রায় ১০ লাখ বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটি উপকূলবাসী। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের সহায়-সম্বলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কমপক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই সাইক্লোনের আঘাতে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রীসহ অগণিত আপনজন পাড়া-প্রতিবেশী হারানোর অব্যক্ত শোক ও বেদনা আজও উথলে উঠে চর, উপকূল, দ্বীপাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িঘরে। ভয়াল দুর্যোগের দিনটি স্মরণে আজ বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সমিতি কোরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, নিহতদের কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ, সভা-সেমিনার, শোকর্যালি, আলোচনা সভাসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ওয়ার্ড-ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় শোকাবহ দিনটি পালিত হবে।
আনোয়ারা সংবাদদাতা জানান, ভয়াল ২৯ এপ্রিল স্মরণে এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সেই গর্কি আনোয়ারা উপকূলে হাজারো মানুষ প্রাণ কেড়ে নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।