পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক সাজন এক্সচেঞ্জ লিমিটেডকে (বিএসইএল) বা ব্র্যাক সাজনকে ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণ দিবে যুক্তরাজ্যের ব্র্যাক ব্যাংকের অফশোর ইউনিট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য চলতি মূলধন ঋণ সুবিধা হিসেবে এই অর্থ অনুমোদন দেয়া হয়। গত ২২ এপ্রিল এই অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগের নামে অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে যাতে অর্থ পাচার না হয় সেদিকে বিশেষ নজড় দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি ব্র্যাক ব্যাংক তুলনামূলক ভালো প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা প্রসারে ঋণ অনুমোদন নিতে পারে। তিনি বলেন, এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছিল। সেই মামলা এখন দুদকে চলমান। অতএব ব্র্যাক ব্যাংকের মতো একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেন এসব না হয় সেটা সবারই প্রত্যাশা থাকবে।
ঋন অনুমোদন দিয়ে ব্র্যাক সাজনকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে এই অর্থ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম প্রোভাইডারের (যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম) সাথে দেশিয় ব্যাংকের মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজের সক্ষমতা বাড়বে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসার প্রসার বাড়বে। তবে এক্ষেত্রে ব্র্যাক সাজনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া সব নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কেউ কেউ বিনিয়োগের আড়ালে অর্থ পাচার করে থাকে। তবে ব্র্যাক সাজনের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটবে না বলে প্রত্যাশা করি। বিনিয়োগ বাড়াতে তাদের এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
জানা গেছে, ব্র্যাক সাজন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিটেন্স আদান-প্রদানের ব্যবসা করে থাকে। এটি যুক্তরাজ্যের ৪৬টি প্রধান শহর এবং ফ্রান্স, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও ইটালীসহ আরও ১৫টি শহরে মোট ৩২০টি এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে সহায়তা করছে।
ব্র্যাক সাজন বলছে, এই সেবার মাধ্যমে রেমিটেন্স হিসেবে বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা দেশে আসে। তবে এই অর্থ প্রবাসীদের স্বজনের কাছে স্বাভাবিকভাবে পৌঁছাতে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগে। আর লিড টাইম ৩ দিন ধরা হলে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্র্যাক সাজনের প্রয়োজনীয় অর্থের দরকার হয় প্রায় ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকার। আর লিড টাইম ৫ দিন ধরা হলে প্রায় ৩৯ কোটির দরকার। অর্থাৎ গ্রাহকের কাছে দ্রুত রেমিটেন্স পাঠাতে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত চলতি মূলধন দরকার।
২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করেছে। তবে যোগাযোগ করে ব্র্যাক সাজনের কারো সাথে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স) আব্দুর রহিম জানান, ব্র্যাক সাজনের উচ্চ পর্যায়ের কেউই এই মূহূর্তে বাংলাদেশে নাই। তাছাড়া সিইও বাংলাদেশে থাকেন না। তিনি থাকেন যুক্তরাজ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।