পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুমসহ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২৮ জাতির এ জোট বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও অন্তভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাব-গ্রুপের বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) বিভাগীয় প্রধান ক্যারলাইন ভিনট। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ শহীদুল হক।
বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। এতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্য দিকে ইইউ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ বলেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এতে মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার, মৃত্যুদন্ড, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি, নারী, শিশু, সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধীদের অধিকার, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে সাধুবাদ জানায় ইইউ। আর রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে ইইউর রাজনৈতিক সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ইইউ রাজনৈতিক ও মানবিক সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
দুইপক্ষ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকমান সমুন্নত রাখতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়। আগামী বছরের প্রথমার্ধে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের বৈঠকে এ সব ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াবে ইইউ ঃ মিয়ানমারের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরো এক বছর বাড়াবে ইইউ। এ মাসে চলতি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। রয়েটার্স জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগে আগামী মে অথবা জুনে মিয়ানমারের কয়েকজন জেনারেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ইইউ। এ তালিকায় রয়েছেন গত আগস্টে রাখাইনে দায়িত্ব পালনকারী মেজর জেনারেল মং ম সো। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাও এই জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইইউ গত অক্টোবরে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ইউরোপে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।