পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী নিয়োগে জি টু জি প্রক্রিয়ায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়াকে কেন্দ্র করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বায়রা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.নমিতা হালদার গতকাল মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী তিন মাসের মধ্যে আমিরাতের মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে তাদবীর সেন্টারের মাধ্যমে গৃহকর্মীসহ ১৯ ক্যাটাগরীতে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র এলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিনা খরচে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিকে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো দালাল বা রিক্রুটিং এজেন্সি’র কাছে যাতে কেউ টাকা পয়সা লেন-দেন না করে। দুপুরে বায়রা নেতৃবৃন্দ তাদের সম্মেলন কক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বায়রা সদস্যদের পাশ কাটিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে জি টু জি প্রক্রিয়ায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী প্রেরণে উদ্যোগ দু:খজনক। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার বেসরকারী উদ্যোক্তারাই দীর্ঘ দিন যাবত ধরে রেখেছে। দেশটিতে ডোমেষ্টিক হোক আর নন-ডোমেষ্টিক হোক কর্মী প্রেরণে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকেই (বি টু বি প্রক্রিয়ায়) সুযোগ দিতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ২৫/৩০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে কর্মী প্রেরণে সুনাম অর্জন করছে। দুবাইয়ের শ্রমবাজার কোনো সিন্ডিকেটের হাতে দিলে তা’ বরদাশত করা হবে না। সদ্যসমাপ্ত উভয় দেশের সমঝোতা স্মারকের মধ্যদিয়ে বায়রা সদস্যদের মাধ্যমে যতটুকু কর্মী যেতো তা’ও বন্ধ করে দেয়া হলো।
বায়রার নেতৃবৃন্দ বলেন, বায়রার সদস্যরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগের জন্য টাকা পয়সা নেয়া শুরু করেছে বলে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা’ সর্ম্পূণ মিথ্যা। এতে সরকারের ও জনগণের ভাব-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বায়রার প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ, মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন, বায়রা নেতা আব্দুল হাই, ড. ফারুক, রিয়াজুল ইসলাম, শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। বায়রা মহাসচিব স্বপন বলেন, দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে কর্মীরা ভালো আছে। বায়রা নেতা গ্রীণল্যান্ড গ্রæপের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মালয়েশিয়ায় দশ সিন্ডিকেট ছাড়া কেউ কর্মী নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে না। এতে সকলের অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। তিনি মালয়েশিয়ায় সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টির জোর দাবী জানান। বায়রা নেতৃবৃন্দ বলেন, সউদীর শ্রমবাজার যাতে কোনো সিন্ডিকেটের হাতে ছেড়ে দেয়া না হয় সে ব্যাপারে সকল বায়রা সদস্যরা সজাগ রয়েছে। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার যুগ্ন-মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ওবায়দুল আরেফ, বায়রার ক্যাশিয়ার মো: ফখরুল ইসলাম, বায়রা নেতা নূরুল আমিন, আলহাজ মো: রেদওয়ান খান (বোরহান), সামা ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আল-ওয়াহেদ ম্যানপাওয়ার সার্ভিসেস-এর স্বত্বাধিকারী মো: মোশাররফ হোসেন ও ওপারাজিতা ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান।
গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউএই-এ শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সর্ম্পকে প্রেসি ব্রিফিংয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে না। গত ১৮ এপ্রিল আমিরাতে ব্যক্তি পর্যায়ে চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশী গৃহকর্মীসহ ১৯ ক্যাটাগরির কর্মী বিনা খরচে নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে কতিপয় সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জয়েন্ট কমিটি গঠন করে কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সুষ্ঠু অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রবাসী মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী কর্মীদের কেউ কেউ খুন-খারাবি’র সাথে জড়িত ছিল। এ জন্য শ্রমবাজারটি নিয়ে বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রবাসী সচিব ড.নমিতা হালদার বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেলে ১ হাজার বাংলাদেশী আটক রয়েছে। এদের মধ্যে ৫৬ জন খুনের আসামী এবং ১৪ জন ফাঁসি’র আসামী রয়েছে। দেশটিতে সরকার ৫শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি বন্ধ করেদিয়েছে। কর্মী নিয়োগে ঐ দেশের কোনো রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি’র কোনো ভূমিকা থাকবে না। একইভাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সরকারকেই কর্মী প্রেরণে সকল দায়িত্ব প্রদান করেছে। প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।