Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানে চীনের অস্ত্র বিক্রি দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সামরিক জোট নেই। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সামরিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তানে চীনের অস্ত্র রফতানি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবর অনুযায়ী চীনা উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাহ্য করছে পাকিস্তান। ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রফতানি এক বিলিয়ন ডলার থেকে গত বছর মাত্র ২১ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে অস্ত্র রফতানির দিক থেকে চীনা অবস্থান অব্যাহতভাবে জোরদার হচ্ছে। কোন দেশ থেকে অস্ত্র কিনবে, তা নির্ধারণ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। অস্ত্র বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে প্রাধান বিস্তার করে থাকা যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তার অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য রাজনৈতিক শর্ত ও কৌশলগত ব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে থাকে। সামরিক সহায়তাও একইভাবে কাজ করে। অস্ত্র রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হলো গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে টার্গেট করা। মার্কিন জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ওইসব এলাকায় মিত্রদের অস্ত্র রফতানি করে থাকে দেশটি।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আফগান তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক জঙ্গি গ্রæপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানকে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিত রাখবে। সামরিক সহায়তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য তার কথামতো পাকিস্তানকে চলতে বাধ্য করা। সামরিক সাহায্যের সাথে এ ধরনের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানের সামরিক সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর।
পাকিস্তান তার অস্ত্র আমদানির উৎস নানামুখী করবে- এমনটাই স্বাভাবিক। এখানেই চীনের কথা আসে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অস্ত্র প্রযুক্তিতে চীন অনেক পিছিয়ে থাকলেও দেশটির অস্ত্র উৎপাদন মূল্যের আলোকে বিশ্ববাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে।
চীনের উদীয়মান অবস্থান এ খাতে পাকিস্তানের মতো অস্ত্র আমদানিকারকের জন্য বিকল্প খুঁজে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চীনা অস্ত্র বিক্রি সবসময়ই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও চীনা আইনের কঠোর কড়াকড়ির মধ্যে হয়ে থাকে। চীনা অস্ত্র রফতানি হয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের বৈধ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বাড়নোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে।
চীন সরকার তার অস্ত্র বাণিজ্যে কোনো রাজনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দেয় না। গোলযোপূর্ণ দেশে বেইজিং অস্ত্র রফতানি করে না। সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতেও হস্তক্ষেপের কোনো আগ্রহ থাকে না চীনের। অস্ত্র বাণিজ্যে চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান হারে পাকিস্তানের সম্পৃক্ত হওয়ার পেছনে রয়েছে দেশটির সামরিক সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করার ইচ্ছা।
পাকিস্তানে চীনা অস্ত্র রফতানি কোনো সামরিক জোট সৃষ্টির ব্যবস্থা করবে না। এ রফতানি পাকিস্তানের সামরিক সার্বভৌমত্ব জোরদার করবে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ