প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রির উন্নতি করতে হলে সিনেমা হলে শুধু ডিজিটাল মেশিন বসালেই হবে না। ভালো মানের সিনেমা দরকার। সিনেমার সংখ্যা না বাড়লে হল বাঁচানো যাবে না। ভালো সিনেমার অভাবে একের পর এক হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গল্প নির্ভর, সামাজিক ও বিনোদনধর্মী সিনেমা নির্মান হলেই সিনেমা হল বাঁচানো যাবে। তা নাহলে সিনেমা শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এই ইন্ডাস্ট্রি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। সম্প্রতি একটি সিনেমার অনুষ্ঠানে আলাপকালে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সিনেমা হল বাঁচলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে। শুধু ডিজিটাল মেশিন দিয়ে হল বাঁচানো যাবে না। বর্তমানে হলগুলোতে ডিজিটাল প্রজেকশনে সিনেমা চলছে। সিনেমা ভালো না হওয়াতে দর্শক টানতে পারছে না। যেসব সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেগুলো মান সম্মত না হওয়ায় ব্যবসা করতে পারছে না। এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান আমলেও দেশিয় সিনেমার পাশাপাশি উর্দু ও ভারতীয় সিনেমা একসাথে প্রদর্শিত হয়েছে। এতে দেশীয় সিনেমার কোন ক্ষতি হয়নি। বরং উপকার হয়েছে। স্থানীয় সিনেমার মান ভাল হয়েছে। দেশীয় প্রযোজকদের প্রযোজনায় উৎসাহিত করতে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছিল। প্রযোজকদের ভুর্তকি দেয়া হয়েছে। প্রযোজকদের প্রযোজনায় উৎসাহিত করতে সিনেমার আমদানীর ব্যবস্থা ছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে অনুরূপ ব্যবস্থা করলে ক্ষতি কি? যদি প্রোডাক্ট না থাকে তা হলে হল বাঁচবে কীভাবে। ভালো প্রোডাক্ট যত বাড়বে হল তত বাঁচবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০০টি হল মালিকের ডিজিটাল মেশিন বসানোর ক্ষমতা আছে। ব্যবসা হচ্ছে না বলে তারা বিনিয়োগ করছেন না। মান সম্মত সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না বলে দর্শক আসছেন না, হলমুখী হচ্ছেন না। বছরে যেখানে নতুন ৪০/৫০ টি সিনেমা দরকার, সেখানে তা নেমে এসেছে ২০টিতে। এই ২০ টির মধ্যে কম করে হলেও ৭/৮টি চলার অযোগ্য। এই স্বল্প সংখ্যক সিনেমা দিয়ে সিনেমা শিল্প বাঁচানো যাবে না। সরকার, তথ্য মন্ত্রনালয় ও এফডিসিকে এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। তা নাহলে, সিনেমা শিল্পের উত্তরন ঘটানো যাবে না। তিনি বলেন, সরকার যদি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অন্যান্য পণ্যের মতো সরাসরি সিনেমা আমদানীর ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে সিনেমা শিল্প বাঁচবে বলে আমি মনে করি। সরাসরি আমদানির কথা বলছি এ কারণে যে, বর্তমানে পাইরেসির যুগ। সরকার/সরকারী প্রতিষ্ঠান সিনেমা আমদানি প্রক্রিয়া করতে করতে সব সিনেমা পাইরেসি হয়ে যাচ্ছে এবং চ্যানেলে প্রদর্শিত হয়ে যায়। সুতারং সরাসরি আমদানির ব্যবস্থা করলে দর্শক হলে বসে নতুন সিনেমা দেখতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।