Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পছন্দের তালিকায় ভারতের তেজাসের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ‘থান্ডার’

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তান-চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জেএফ-১৭ ‘থান্ডার’ ফাইটার বিক্রি নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতও হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড (এইএএল)-এর তৈরি তেজাস জঙ্গিবিমানের গুণাগুন সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে আগ্রহী।
ফলে চির-বৈরি দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ভারতের জঙ্গিবিমানগুলোর মধ্যে তুলনাও একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ, ওজন ও ফাইটিং দক্ষতাসহ অনেক ক্ষেত্রে জেএফ-১৭ থান্ডার ও তেজাসের মধ্যে তুলনা করা গেলেও বাস্তবতা হলো প্রথমটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। তাই জেএফ-১৭ আসলেই কি এইচএএল তেজাসের চেয়ে ভালো?
রয়্যাল মালয়েশিয়ান এয়ারফোর্সের (আরএমএএফ)-এর কমব্যাট বহরের জন্য জেএফ-১৭ থান্ডার ফাইটার জেট বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ করেন পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি)-র এক কর্মকর্তা। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ডিফেন্স সার্ভিস এশিয়া এক্সিবিশন ২০১৮-এ অংশ নেয়া ওই কর্মকর্তা জানান যে, জেএফ-১৭ রফতানি নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন চুক্তি হয়নি। মালয়েশিয়ার স্থানীয় শিল্পের সঙ্গে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে জেএফ-১৭ তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহলের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।
প্রায় ১০ বছর আগে মালয়েশিয়া টুইন ইঞ্জিন ফাইটার জেট কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তহবিল সঙ্কটের কারণে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। দেশটি তার পুরনো ১৮টি মিগ-১৯ জঙ্গিবিমান বদলে ফেলতে চায়।
বর্তমান বিশ্ববাজারে জেএফ-১৭ ও তেজাসের সম্ভাব্য চাহিদার ব্যাপারে পাকিস্তান ও ভারত- দু’দেশই ভালোভাবে সচেতন। দুটি মডেল প্রায় একইরকম হলেও পাকিস্তানের ফাইটারগুলো সহজলভ্য হওয়ায় জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে তা এগিয়ে রয়েছে।
যদিও দুটি ফাইটারই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোকে স্বল্পমূল্যে একটি কার্যকর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারে।
জানা গেছে, শ্রীলংকা জেএফ-১৭ থান্ডার কিনতে চেয়েছিলো। কিন্তু ভারত দেশটিকে বিনামূল্যে আপগ্রেডেড মিগ-২৭ সরবরাহের প্রস্তাব দেয়ায় পাকিস্তানি বিমান কেনার প্রস্তাব থমকে যায়।
ভারত আশা করছে, এভাবে সে ভবিষ্যতে শ্রীলংকার কাছে তেজাস বিক্রি করতে সক্ষম হবে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জন্য এখনো তেজাসকে প্রস্তুত করা যায়নি। অন্যদিতে জেএফ-১৭ থান্ডার ‘চাহিবা মাত্র’ সরবরাহের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশটি প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা পণ্য উৎপাদনে অধিক নজর দিতে চাচ্ছে। কিন্তু সম্পদের অভাব ও দুর্বল বাস্তবায়নের কারণে পরিকল্পনাগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবে রূপ দিতে পারছে না ভারত।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প তেজাসকে গর্বের বিষয় হিসেবে দেখলেও বতর্মান পর্যায়ে পৌঁছতে এর তিন দশক লেগে গেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ইতোমধ্যে অপারেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে, যা একে বিদেশী ক্রেতাদের কাছে অধিক আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পছন্দ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ