Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইকনরাই তাহলে ঠিক করেছে পছন্দের দল!

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) প্রথম দু’টি আসরে আইকন ক্রিকেটারদের উঠতে হয়েছে নিলামে। তৃতীয় আসরে আইকনদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে লটারীতে। তবে বিপিএলের চতুর্থ সংস্করণে লটারীতে উঠতে হয়নি আইকনদের। সাকিব ঢাকাতে, মুশফিক রবিশালে, তামিম ইকবাল চিটাগংয়ে, মাহমুদউল্লাহ খুলনায়, মাশরাফি কুমিল্লায়, সাব্বির রাজশাহী, সৌম্য সরকারের ঠিকানা এবার রংপুর। পুরোনো ৫ ফ্রাঞ্চাইজি আইকনের বাইরে দু’জন করে পছন্দের ক্রিকেটার রেখে দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। ঢাকায় থেকে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নাসির হোসেন, চট্টগ্রামে তাসকিনও এনামুল হক বিজয়, রংপুরে আরাফাত সানিও মোহাম্মদ মিঠুন, কুমিল্লায় ইমরুল কায়েসও লিটন দাস, বরিশালে আল আমিন হোসেনও তাইজুল ইসলামকে এবারো যাবে দেখা।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে স্থানীয়দের মধ্যে সেরা ১৭ ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ায় প্লেয়ার্স ড্রাফটের আকর্ষণে ভাটা পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। তবে আইকন ৭ ক্রিকেটার তাদের সম্মানী ধার্য করার পর নাকি ফ্রাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে বেশি অর্থ পেতে দল নির্বাচনে তাদের স্বাধীনতা চেয়ে নিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছ থেকে। সেই তথ্যই গতকাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ডা. আই এইচ মল্লিকÑ ‘কিছু কিছু ফ্র্যাইঞ্চাজি আমাদের কাছে বলেছে, যেমন কুমিল্লা সরাসির বলেছে তারা মাশরাফিকে রাখতে চায়। চিটাগং বলেছে তামিকে চায় তারা। বরিশাল বলেছে রিয়াদ কিংবা মুশফিককে দরকার তাদের। তবে সাকিবের ব্যাপারে সবারই আলাদা একটা আগ্রহ ছিলো। সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে মাশরাফির নেতৃত্বে পাঁচজন আমাদের কাছে এসছিলো। ওরা বলেছে, আমাদেরকে নির্বাচন করার সুযোগটা করে দেন। তারা তাদের মতো টিম নির্বাচন করেছে। আর কারোতো কিছু করার নেই। ওরা বলছিলো প্রাইস ফিক্সড করার পর যদি আমাদেরকেই টিম নির্বাচন করার স্বাধীনতা দেয়া হয়। হয়তো বা এর চেয়ে কিছু টাকা বেশি পেতে পারি।’
গতবার ৬ আইকনের সম্মানী যেখানে নির্ধারিত ছিল ৩৫ লাখ টাকা, এবার সেখানে স্তরায়ন হয়েছে। সাকিবের সম্মানী নির্ধারিত হয়েছে ৫৫ লাখ, মাশরাফি, মুশফিকুর, মাহামুদুল্লাহ, তামীমের দর সেখানে ৫০ লাখ, আর সৌম্য, সাব্বিরদের জন্য ৪০ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগই (সিপিএল) বলুন, কিংবা পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল), আইকনদের সবার সম্মানী একটা অংকেই হয় নির্ধারিত। সেখানে বিপিএল’র চতুর্থ সংস্করণে কেন আইকনদের সম্মানী ধার্যে হলো বিভাজন? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব এভাবেইÑ ‘মেরিট অনুযায়ি প্রাইসটা করা হয়েছে। সাকিব আমাদের দলের একমাত্র খেলোয়াড় যে বিদেশী সব লিগেই খেলে। ওর মূল্যটা অন্য যে কারো চেয়ে বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচকদের সঙ্গে বসেই ঠিক করেছি।’
তবে এবার ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরীতে আইকনদের গণ্য করলেও সাকিবকে পেতে যে ৫৫ লাখ টাকার উপরে খরচ করতে হচ্ছে, সে আভাস দিয়েছেন ওই কর্মকর্তাÑ ‘নিশ্চয়ই সাকিব ৫৫ লাখে তো রাজি হয়নি। তামিমও ৫০ লাখে চট্টগ্রামে যায়নি।’ তবে বিসিবি ‘এ প্লাস’ গ্রেডে ক্রিকেটারদের গ্যারান্টার, সেখানে নির্ধারিত দরের বাইরে এক টাকাও বাড়তি দিতে বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন মল্লিক।
এদিকে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই ৭টি ফ্রাঞ্জাইজি নিয়ে ফেলেছে ইতোমধ্যে ৩৮ ক্রিকেটার। খুলনা টাইটানস দলে ভিড়িয়েছেন নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কেভন কুপার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রিকি ওয়াসেলস (ইংল্যান্ড), বিনি হাওয়েল (ইংল্যান্ড) ও মোহাম্মদ আজগর (পাকিস্তান) কে। বরিশাল বুলসে’র একমাত্র বিদেশী দিলশান মুনাবিরা (শ্রীলংকা), চিটাগাং ভাইকিংস পেয়ে গেছে ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ডোয়াইন স্মিথ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) শোয়েব মালিক (পাকিস্তাান), চতুরঙ্গ ডি সিলভা (শ্রীলংকা), মোহাম্মদ নবী, (আফগানিস্তান), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে এবার দেখা যাবে সোহেল তানভীর (পাকিস্তান), ইমাদ ওয়াসিম (পাকিস্তান), আশহার জাইদি (পাকিস্তান), নুয়ান কুলাসেকেরা (শ্রীলংকা), তিসারা পেরেরা (শ্রীলংকা), ঢাকা ডায়নামাইটসে কুমারা সাঙ্গাকারা (শ্রীলংকা), মাহেলা জয়াবর্ধনে, (শ্রীলংকা) আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ডোয়াইন ব্রাভো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), এভিন লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রবি বোপারা (ইংল্যান্ড), রাজশাহীতে ড্যারেন সামি, (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) মোহাম্মদ সামি (পাকিস্তান), রংপুর রাইডার্সে শহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান), শারজিল খান (পাকিস্তান), বাবর আজম (পাকিস্তাান) দাসুন সানাকা (শ্রীলংকা) মোহাম্মদ শাহজাদ (আফগানিস্তান) গ্রিডন ডারমেইন পোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রিচার্ড জেমস গ্লেসন (ইংল্যান্ড)।
প্লেয়ার্স ড্রাফটে ওঠেনি বলে এই ৩৮ বিদেশী ক্রিকেটারকেও ফ্রাঞ্চাইজিরা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বেঁধে দেয়া সম্মানীতে নিশ্চয়ই পায়নি। জাতীয় দলের বিদেশী কোচ ছাড়া সবাই নির্বাচক, স্থানীয় কোচ, ট্রেনার সবাই যে কোন দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন। নির্বাচকরা ম্যাচ ডেতে হয়তো ড্রেসিংরুমে থাকতে পারবেন না। কিন্তু তাদের ট্যাকনিক্যাল অ্যাডভাইজ, তাদের টিম গঠনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইকনরাই তাহলে ঠিক করেছে পছন্দের দল!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ