Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনবল সঙ্কটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৫০ শয্যার এই সরকারি হাসপাতালের ওপর ভরসা উপজেলার প্রায় তিন লাখ জনগোষ্ঠীর। পাশাপাশি উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চলছে চিকিৎসক সঙ্কট। কয়েক বছরে বদলি ও অবসরজনিত কারণে এক তৃতীয়াংশ পদই শূন্য রয়েছে। প্রেষণ ও বিভিন্ন ছুটিজনিত কারণে সেবাদানকারীর সংখ্যা আরো কমেছে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৭৭টি পদের মধ্যে ৫৮টি পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে চিকিৎসকের ৩২টি পদের মধ্যে ১৮ জন চিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বাকি ১৪ জনের মধ্যে আটজন চিকিৎসকের পদ শূন্য। তার মধ্যে ছয়জন চিকিৎসক জেলা সদরের অন্যান্য হাসপাতালে প্রেষণে আছেন। নার্স ২৩টি পদের মধ্যে নার্সিং সুপারভাইজারসহ সাতটি পদ শূন্য। তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৮৪টি পদের মধ্যে ৫৮ জন কর্মরত আছেন। তারমধ্যে সিভিল সার্জন ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালে প্রেষণে আছেন তিনজন। প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, ক্যাশিয়ার, স্টোর কিপার, ফার্মাসিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও এক্স-রে টেকনিশিয়ানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রয়েছে। চুতর্থ শ্রেণির ২৩টি কর্মচারী পদের মধ্যে ১৭ জন কর্মরত আছেন। এ ছাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ৯টি চিকিৎসা সহকারী পদের মধ্যে ৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন। অপারেশন থিয়েটারে কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও ডাক্তার না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লোকবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সঙ্কট থাকায় গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অধিকাংশ ওষুধই না পাওয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়। এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন এবং প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাখাল চন্দ্র বড়–য়া ইনকিলাবকে জানান, চিকিৎসক সঙ্কটে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সার্জন ও এনেসথেসিয়া না থাকায় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এসব সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান ছিদ্দিকী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ