পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা নববর্ষ পালন করাকে ইসলাম সম্মত বলায় ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি উসামা ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মোহাম্মদপুরের তাজ জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. মুহম্মদ হাসান শহীদ কামরুজ্জামান (দুর্বার)-এর মাধ্যমে এই লিগ্যাল নোটিশটি গতকাল রেজিস্টার্ড ডাকে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণ ও অনলাইন সংস্করণে ‘পবিত্র শবে মেরাজ ও পয়লা বৈশাখ” শীর্ষক একটি নিবন্ধে তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি উসামা ইসলাম লিখেছেনÑ “পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলাভাষী মানুষের সিংহভাগ যেহেতু মুসলমান সেহেতু এ উৎসব থেকে তাদের দূরে থাকার সুযোগ নেই। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে শরিয়তের বৈধ সীমায় আনন্দ-উৎসব করা দোষের নয়। বৈধভাবে নববর্ষ উদ্যাপনের অনেক পথও রয়েছে। শুকরিয়ার নামাজ, দান-সদকা, নফল রোজা, কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে নববর্ষ উদ্যাপন করা যেতে পারে।”
তিনি বলেছেন, এ দুটি দিনের সঙ্গে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
তার মনগড়া এই মন্তব্য বাংলাদেশে প্রচলিত দÐবিধির ২৯৫ (ক) ধারা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৭ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে মুফতি উসামাকে তার মতামতসমূহের ব্যাপারে পবিত্র কুরআন ও হাদীস থেকে সুস্পষ্ট দলীল দেখাতে বলা হয়েছে অথবা ওই নিবন্ধে প্রদত্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় মুফতি উসামার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।
খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে পুলিশ প্রত্যাহার
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনে থেকে দায়িত্বরত পুলিশের চারজন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। শামসুদ্দিন দিদার জানান গতকাল (বুধবার) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চারজন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার বাসার সামনে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বরত ছিলেন। এই টিমে একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও তিনজন কনস্টেবল ছিলেন। কী কারণে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, এ নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি দিদার। তিনি বলেন, এখনও নিশ্চিত নই, কী কারণে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।