Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আপাতত সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নয় -ইসি সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিএনপি প্রতিনিধিদলের সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকারের আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
সচিব বলেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদকে প্রত্যাহারের যে দাবি বিএনপি করেছে, সে বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শৈষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা জানান। বৈঠকে আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানায় বিএনপি। আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, তারা (বিএনপি) অনেকগুলো দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে ইভিএম, সেনা মোতায়েন ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের নির্বাচনী এলাকায় নিয়োগ না দেয়া উল্লেখযোগ্য। আমরা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে বলেছি, আইনে প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা আছে। তাই তাদের প্রত্যেকটি ইভিএম দেখার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই। আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানোর পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহার না করা এবং গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারসহ ২৬ দফা লিখিত দাবি ইসির সামনে তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
বৈঠকের পর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্রস্তাব কমিশন আইনানুগভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ অনেক সুপারিশ ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই। ইভিএমের মতো প্রযুক্তি আইনানুগভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে। এরপরও এ নিয়ে আপত্তি থাকলে বিএনপিকে আবারো এসে ইভিএম দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। বিএনপি বলেছে, এসপি হারুনকে গাজীপুর থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের কারণে কমিশন তাকে একবার প্রত্যাহার করেছিল। তার মতো সিভিল প্রশাসন ও পুলিশের চিহ্নিত কর্মকর্তাদের ‘বদলি করে পেশাদার’ কর্মকর্তা দিতে হবে খুলনা ও গাজীপুরে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ছিলেন।
জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনেও বিএনপি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে স্থানীয় ভোটে সেনা মোতায়েন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান এর বিপরীতে। প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা নিজেও স¤প্রতি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনি সেনা মোতায়েনের পক্ষে নন।
আগামী ১৫ মে ভোটের দিন রেখে দুই সিটির নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঠিক হয়েছে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনে গাজীপুরে এম এ মান্নান এবং খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি বিএনপির মনোনয়নে ভোটে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাদের বদলে গাজীপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন হাসানউদ্দিন সরকার, আর খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার আছেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। আর খুলনা সিটির ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন। ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মÐল গাজীপুর সিটি করপোরেশনে এবং খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ