পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিরোধী দলগুলোর সাথে সরকারকে আলোচনায় বসার আহŸান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্ণেল অলি আহমদ। তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সরকারকেই সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকার এককভাবে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করে তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য বলছে। আর আমাদেরকে বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও গৃহের মধ্যে বন্দি রেখেছে। নির্বাচন কমিশন হলো সরকারের একটা মদদপুষ্ট সংগঠন। যদিও সাংবিধানিকভাবে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই স্বাধীনতা কিন্তু কাগজে পত্রে সীমাবদ্ধ। নির্বাচন যেহেতু সামনে আসছে। আমি দাবি করতে চাই, সরকারের পক্ষ থেকেই ঘোষণা আসা উচিৎ প্রত্যেকটা দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য যে যেখানে মিটিং করতে চায়, সেই মিটিং যেন তাকে করতে দেয়া হয়। এ বিষয়ে যেন সরকার সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দেয়।
অলি আহমদ বলেন, নির্বাচন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠু হয় এলডিপির পক্ষ থেকে এটাই আমরা কামনা করবো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ যেন অশান্ত না হয়। প্রত্যেকবার নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে দেশ অশান্ত হয়েছে। আমরা আশা করবো, ২০১৮ সাল সেই ধরণের আশঙ্কা হবে না। সরকারে উচিৎ হবে বিরোধী দলের সাথে বসে কিভাবে সুন্দর নির্বাচন করা যায় আলোচনার মাধ্যমে সেটা ঠিক করবে।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটক রাখা হয়েছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যখন ১/১১’র সময় বন্দি ছিলেন উনার চিকিৎসার জন্য তৎকালীন সরকার তাকে বিলাতে পাঠিয়েছিল। আজকে বেগম জিয়াকে বিলাতে পাঠানোর প্রয়োজন নাই। অন্ততঃ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো যায়। বিএনপিও সেই দাবি জানিয়েছে। আমরা আশা করবো, বেগম জিয়া, তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, সেনা প্রধানের স্ত্রী। সুতরাং তাকে যদি আমরা সেইভাবে সম্মান না দেই, দেশে কেউ কাউকে সম্মান করবে না। সরকারের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
অলি আহমেদ মেধার ভিত্তিতে প্রশাসনের জন্য কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা দেশে সুশাসন চাই, সাধারণ মানুষের অধিকার চাই। কয়েকদিন আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের আন্দোলন ছিলো যৌক্তিক। তারা কোটা সংস্কার চেয়েছে, বাতিল চায়নি। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা আমাদের সন্তানদের জন্য, অনগ্রসর গোষ্ঠির জন্য, মহিলাদের জন্য কোটা সংরক্ষিত ছিলো। হঠাৎ করে কি কারণে জানি না সরকারের পক্ষ থেকে এটা বাতিল করে দেয়া হলো। এখানে দাবি হচ্ছে, কোটা সংস্কার করা হোক। মেধার বিকাশ না ঘটলে সেই জাতি কখনো উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে না। ডাফারদের নিয়ে দেশ চলে না, অশিক্ষিত লোকদের নিয়ে দেশ চলে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনের হামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি দুর্নীতি খেলা চলছে। প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের সাজা হয়নি। সরকারকে বলব- যদি বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চান দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটের শরিকদের আসন বন্টনের বিষয়ে বিএনপির সাথে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে জোটভিত্তিক প্রার্থী থাকবে। বিএনপি যেহেতু প্রধান দল, তাদের প্রার্থী দেয়া হয়েছে। তারা চাইলে আমরা যে কোনোভাবে সমর্থন দিব। ভারত সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, যে কারো সাথে আমার সু-সম্পর্ক থাকতেই পারে। কারো সাথে সম্পর্ক ঘাটতি থাকলে সেটা তার ব্যাপার। তবে আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট চাইলে যে কোনো সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল করিম আব্বাসী, আব্দুল গনি, কামাল উদ্দিন মোস্তফা, সহ-সভাপতি খায়রুল কবির খান পাঠান, হাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা জাফর সিদ্দিকী, তমিজ উদ্দিন টিটো, আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।