Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লায় পেট্রলবোমায় আটজন হত্যা মামলায় খালেদার জামিন নামঞ্জুর

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আটজনকে হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্তরবর্তীকালীন জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর হয়েছে। জামিনের আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি ২৩ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মো. কাইমুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খালেদা জিয়া ঢাকায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১০এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র বিচারিক হাকিম মুস্তাইন বিল্লাহ খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তার আইনজীবীরা জামিন নামঞ্জুর আদেশের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করেন। গতকাল সোমবার সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অন্তবরর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। বেলা ১১টায় অন্তরবর্তীকালীন জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি হয়। এতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম সেটি নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেন ২৩ এপ্রিল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে হাজির করার পরোয়ানা (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট-পিডবিøউ) জারি করেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে ২৮ মার্চ মামলার শুনানির দিন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই দিনই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে কুমিল্লার আদালতে আবেদন করেন। এরপর গত ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ও আদালতে হাজিরা পরোয়ানা জারির নির্দেশ বাতিল চেয়ে আবেদন নিয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে তার উপস্থিতিতেই ২৮ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ওই দিনই পুনরায় ৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ওই দুই দিন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়নি। তখন আদালত ১০ এপ্রিল জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেন। বিচারিক আদালতের ওই দিনের শুনানিতে সেটি নামঞ্জুর করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চান তার আইনজীবীরা।
জানতে চাইলে কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রæয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে আটজন যাত্রী নিহত হন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেলে আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন। একই সঙ্গে ২৮মার্চ তাকে কুমিল্লার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের পর গত ৮ এপ্রিল কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭৭ জন আসামির মধ্যে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। জামিনে আছেন ২৯ জন এবং জেলহাজতে রয়েছেন একজন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ