Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কত সিট চান জানি প্রকাশ্যে বলার কি আছে

এরশাদকে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


আগামী নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি এবং মন্ত্রীত্ব নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি কত সিট চান, এটা তো আমরা জানি। আমাদের কাছে অলরেডি আপনাদের তালিকা আছে। এটা পত্রিকায় দেয়ার দরকার নেই। প্রকাশ্যে বলার কি আছে? গতকাল সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার রংপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনসহ ৭০টি সংসদীয় আসন দাবি করে বলেন, পরবর্তী সময়ে ১০-১২টি মন্ত্রণালয় জাতীয় পার্টিকে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ আমাদের দাবি পূরণ না করলে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাবে।
এ প্রসঙ্গে সরকার দলীয় জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা শুরু হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আমি সবিনয়ে বলবো, এলায়েন্সে কে কত আসন পাবে, সেটা আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। জোটের শরিক বলে ইচ্ছা মতো আসন চাইবে, এটা হতে পারে না। এটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সময় ঠিক হয়। প্রকাশ্যে আমরা কে কত সিট দাবি করছি- এটা আমার মনে হয়, না বললেই ভাল। তিনি বলেন, বাস্তবতা বলে দেবে, সময়ের প্রয়োজনে উইনেবল ক্যান্ডিটেট যদি জাতীয় পার্টিতে ৭০জন থাকে, কেন দেবো না? আর যদি উইনেবল ক্যান্ডিটেট না থাকে তাহলে কিভাবে পাবেন? ইলেকশনে তো জিততে হবে। এলায়েন্সের শরিক বলে ইচ্ছে মতো দাবি করবো, সেটা তো হয় না? দাবি করতে পারেন কিন্তু এটা আমরা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবো। নির্বাচনে যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে তাদের বঞ্চিত করা হবে না বলেও জানান কাদের।
‘মন্ত্রীত্ব এই মুহুর্তে দাবি করার বিষয় নয়’ উল্লেখ করে সরকারের সড়কমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রীত্ব তখনই ঠিক হবে, যখন আমরা এলায়েন্স হয়ে সরকার গঠন করবো। তখন মন্ত্রীত্বের বিষয় আসবে, কে কতটা মন্ত্রণালয় পাবে? কাজেই এ বিষয়টা পরের ব্যাপার। এখন ঠিক করার বিষয় নয়। আর সরকার গঠনের সময় মন্ত্রী দেয়া না দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন।
তাহলে কি আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোট হচ্ছে; এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট হবে না, আমি এই কথা এখন বলতে পারছি না। সেটা তো সময় বলে দেবে। জোট হবে কি না, সেটি এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। বসাবসি শুরু হয়ে যাবে। জেতার মতো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
দেশের মানুষ আন্দোলনের মুডে নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রঙ্গিন খোয়াব হাওয়ায় উড়ে গেছে। এই কোটার ভিতর সরকারবিরোধী আন্দোলনের রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে গেছে। বিএনপি শুধু খোয়াব দেখবে। আর আন্দোলন হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নির্বাচনের মুডে।
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, এই দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন মানে, ওই দুই ডিভিশনের সকল ভোটাররা এর সঙ্গে জড়িয়ে যাবে। এরপর আরো ৫সিটির নির্বাচন। সেমিফাইনাল চলছে। এখন আর আন্দোলনে কাজ হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের ছাত্রদের মধ্যে একজন সরাসরি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং অপর তিনজন ছাত্রলীগের পদধারী হয়ে অনুপ্রবেশকারী’ গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যেই জড়িত হোক। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিকাশ পরিবহন নামের একটি বাসের যাত্রীরা মন্ত্রীর কাছে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন। যাত্রীরা ওবায়দুল কাদেরকে অভিযোগ করে বলেন, বাসটি সরকার নির্ধারিত ৩২ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা।
মন্ত্রী বাসটি আটকের জন্য বিআরটিএর লোকজনকে নির্দেশ দেন। যদিও যাত্রী থাকার কারণে বাসটি ছেড়ে দেয়া হয়। বাসের নম্বরের সাহায্যে বিআরটিএ পরবর্তীতে বাস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ৪০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস এবং মোটরসাইকেল আছে। ৪০টি গাড়িকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

 



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৩১ এএম says : 0
    জনগন বলছেন , “ কৌশল – ২০১৮ “ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেই মুখে মধুর মধুর বুলি, সাময়িক শ্রেনীবৈষম্যের ছিকল ছিঁড়ে সবার সাথে করে কোলাকোলি ৷ ৪৬ বৎসর পর মনে পড়েছে দিতে টিনের ঘর, জয়ের পর অনুমোদন হবে কিল, লাথি আর থাপ্পর ৷ ঘরে ঘরে হবে তল্লাশী ডিজিটাল আইনের বলে, মিথ্যে মামলা পিছু ছাড়বেনা ন৷গেলে মাটির তলে ৷ সব কারাগার করবে পরিপূর্ন বেটা-ছেলেদেরকে দিয়ে, মা-বোনেরা পড়বেন মহাসংকটে ঘর-সংসার নিয়ে ৷ গনতন্ত্রের হবে হত্যা পিলখানারই মত, জনসভায়, মিশিলে উঠবে ট্রাক মারতে শত, শত ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ