Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসিফার জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার বলিউড

মুসলমান যাযাবরদের হঠাতেই জম্মুতে ধর্ষণ ও খুন ৮ বছরের কন্যাশিশুকে?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:৩৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে একটি আট বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার যে মামলার তদন্ত করছিল সেই রাজ্যের পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, তারা আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করেছে। তদন্তে ঘটনার যে বিবরণ উঠে এসেছে, তা এক কথায় বীভৎসতার চূড়ান্ত পর্যায়।
এও বলা হয়েছে চার্জশীটে, যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী যাযাবর স¤প্রদায়কে হিন্দু প্রধান এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য ঐ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অপহরণ, ধর্ষণ আর হত্যার ঐ মামলায় আট জন অভিযুক্তের মধ্যে চার জন পুলিশ কনস্টেবল বা কর্মকর্তা। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের মুক্তির দাবিতে আর গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিতে জম্মু অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় নেমেছিলেন জম্মু বার এসোসিয়েশনের সদস্যরা। ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে একটি আট বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার যে মামলার তদন্ত করছিল সেই রাজ্যের পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, তারা আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করেছে। তদন্তে ঘটনার যে বিবরণ উঠে এসেছে, তা এক কথায় বীভৎসতার চূড়ান্ত পর্যায়।নিয়ে ওই সব বিক্ষোভে দেখা গেছে ভারতের জাতীয় পতাকাও।
কী অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীটে?
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, আট বছরের ঐ কন্যা শিশুকে জম্মু-র কাঠুয়া জেলায় তার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। যাযাবর গুজ্জর জাতি-গোষ্ঠী শিশুটিকে এবছরের ১০ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয়, যখন সে পোষা ঘোড়া আর ভেড়াগুলিকে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। পরের দিন তার পরিবার হীরানগর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করে। সাত দিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কাঠুয়া জেলারই বসানা গ্রামে। ঘটনাটি নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে থাকে, একসময়ে বিষয়টি পৌঁছায় রাজ্য বিধানসভায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা ঘোষণা করেন।
তদন্তের শুরুতেই দেখা যায় যে ওই কন্যা শিশুর খোঁজ করতে পুলিশ কর্মীরা যখন জঙ্গলে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই এমন দুজন ছিলেন, যারা মৃতদেহটির পোশাক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগে একবার জলে ধুয়ে নিয়েছিল। সন্দেহ বাড়ায় তাদের জেরা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঐ দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই ওই হীরানগর থানায় কর্মরত ছিলেন। তল্লাশি চালিয়ে বসানা গ্রামের একটি মন্দির থেকে কিছু চুল খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ হয় যে ঐ চুল অপহৃত কন্যা শিশুটির হতে পারে।
চার্জশীটে বলা হয়েছে, ওই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সাঞ্জি রাম নামে যে ব্যক্তি, তিনিই নিজের পুত্র আর ভাইপোর সঙ্গে ওই কন্যা শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। গুজ্জর স¤প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাই উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
চার্জশীটে বলা হয়েছে, স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে বাকারওয়াল বা যাযাবর স¤প্রদায়ের ওই মানুষরা গরু জবাই করে আর মাদকের কারবার করে। এ নিয়ে এর আগে দুই তরফেই পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা হয়েছে।
চার্জশীটে পুলিশ এটাও উল্লেখ করেছে যে ধর্ষণের আগে ঐ মন্দিরে কিছু পুজোও করা হয়। ৬০ বছর বয়সী সাঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল আর নাবালক ভাইপো, চার পুলিশ কর্মী এবং আরেক ব্যক্তি গোটা ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। ঐ কন্যা শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে আসার পরে তাকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে যে নাবালক রয়েছে, সে তার চাচাতো দাদা সাঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে উত্তর প্রদেশের মীরঠ শহর থেকে ডেকে আনে ফোন করে যাতে, সে-ও ওই কন্যা শিশুটিকে ধর্ষণ করতে পারে। চার্জশীটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টানা ধর্ষণ করার পরে যখন অভিযুক্তরা ঠিক করে যে এবার ওই কন্যা শিশুটিকে মেরে ফেলার সময় হয়েছে, তখন একজন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অন্যদের বলে, ‘এখনই মেরো না। দাঁড়াও। আমি ওকে শেষবারের মতো একবার ধর্ষণ করে নিই’।
তারপরে ওই পুলিশ কর্মী নিজে চেষ্টা করে কন্যা শিশুটিকে হত্যা করতে, কিš’ সে ব্যর্থ হয়। শেষে নাবালক অভিযুক্তই ওই কন্যা শিশুকে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় একটা পাথর দিয়ে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে যে ওই কন্যা শিশুটিকে মাদকের বড়ি খাইয়ে তারপরে ধর্ষণ করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে যখন একের পর এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হতে থাকেন, তখন থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ।
প্রথমে স্থানীয় একটি সদ্য গঠিত হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভে নামে। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তাদেরই একজন, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিধানসভার সদস্য অশোক কউল বিবিসির প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, ‘এলাকার মানুষের সঙ্গে তো থাকতেই হবে। তবে দলের তরফে এই ঘটনার নিন্দা তো করাই হয়েছে। আর আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো - সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক’।
বিজেপিও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে সরকারের অংশীদার। ঐরকম একটি বিক্ষোভ মিছিলের ছবি রয়েছে বিবিসির কাছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মিছিলকারীদের হাতে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা।
ওই বিক্ষোভ মিছিলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের পক্ষ নিয়ে মিছিল হচ্ছে দেখে আমি হতবাক হয়ে যাচ্ছি। এই সব বিক্ষোভে আবার জাতীয় পতাকা রয়েছে! আমি আতঙ্কিত। এটাতো জাতীয় পতাকার অবমাননা’।
এর পরেই অবশ্য বিজেপির নেতৃত্ব ওইসব বিক্ষোভ থেকে নিজের দলের লোকদের সরিয়ে নেন। তবে এবার বিক্ষোভে নামে আইনজীবীরা। গ্রেপ্তারীর প্রতিবাদে জম্মুতে যে হরতাল হয়েছিল ১১ই এপ্রিল, তাতে যুক্ত হয়ে রাস্তায় নেমেছিল বার এসোসিয়েশন। তবে সব আইনজীবী বা বার এসোসিয়েশন যে এই ঘটনায় ধৃতদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন, এমনটা নয়।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা যাতে চার্জশীট পেশ না করতে পারেন, তার জন্য রীতিমতো ঘেরাও চলতে থাকে। আদালত চত্বরেই চলতে থাকে ¯েøাগান। শেষমেশ অনেক রাতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা চার্জশীট জমা করতে সক্ষম হন। ওই কন্যা শিশুর পিতা বিবিসিকে বলেছেন, ‘যখন দেখছিলাম মেয়ের ওপরে অত্যাচারীদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হচ্ছে, মনে হল আমার মেয়েটা আরও একবার ধর্ষিতা হল’।
‘ঘোড়াগুলো ফিরল, মেয়েটা আর ফিরল না’
ওই কন্যা শিশুর মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা তো জীবজš’ পালন করেই জীবনযাপন করি। ছয়মাস জম্মুতে বাকিটা কাশ্মীরে থাকি আমরা। নদনদীর কাছাকাছি। মেয়েটা জন্তুগুলোকে ভীষণ ভালবাসত। ১০ তারিখ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বলল, আমি জঙ্গলে যাই - ঘোড়াগুলোকে নিয়ে আসি। ঘোড়াগুলো তো ফিরে এসেছে, মেয়েটা আর ফিরল না।’
আসিফার জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার বলিউড
কাশ্মিরে ৮ বছরের কন্যা শিশু আসিফাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সোচ্চার হয়ে উঠেছে সে দেশের অভিনয় শিল্পীরা। অভিষেক বচ্চন থেকে শুরু করে জাভেদ আখতার, ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্কর, অতুল কাসবেকর, হংসল মেহতা, বিশালা দালানি- সবাই দাবি তুলেছেন ন্যায়বিচারের। আসিফাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাকাÐের ঘটনায় এক সরকারি কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে ভারতের আদালত। মধ্য জানুয়ারির ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার দিন অভিযোগপত্র জনসম্মুখে আনা হয়। জানুয়ারিতে এ নিয়ে তেমন উত্তেজনা না হলেও এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর সোচ্চার হয়ে উঠেছে বলিউডসহ সারা ভারত।
কাঠুয়া অঞ্চলের যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর মেয়ে ছিলো ৮ বছরের ছোট্ট আসিফা। কাঠুয়ার উপত্যকায় ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় তাকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে আশফিয়া নামের ওই শিশুকে অপহরণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর মন্দিরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে।
আসিফার জন্য ন্যায়বিচার দাবি করে বলিউড অভিনেতা জাভেদ আখতার লিখেছেন, ‘মহিলাদের সুরক্ষার পক্ষে সওয়াল করার এটাই সেরা সময়, সকলে এগিয়ে এসে মুখ খুলুন।’ অভিষেক বচ্চন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে আসিফার ছবি পোস্ট করে সঙ্গে হ্যাসট্যাগ আসিফা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পরিচালক হংসল মেহতা নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি লেখা রিটুইট করেছেন। এই লেখায় নিউ ইয়র্ক টাইমস বিস্তারিতভাবে আসিফার হত্যা কাহিনি বিবৃত করেছে এবং দেখিয়েছে কীভাবে হিন্দুরা এই নৃশংসতার প্রতিবাদের নামে আসল দোষীদের আড়াল করছে। হংসল তার শেয়ার করা পোস্টের তলায় প্রশ্ন তুলেছেন এটাই কি জাতীয়তাবাদ?
সোনম কাপুর সোশ্যাল মিডিয়ায় আসিফার হত্যার ঘটনায় জড়িত হিন্দু এবং তাদের বাঁচানোর চেষ্টায় কসরত করে চলা হিন্দুদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি তাঁর টুইটে মিথ্যা দেশপ্রেমিক ও জাল হিন্দু বলে দুটি শব্দও ব্যবহার করেছেন। এই মিথ্যা দেশপ্রেম ও জালি হিন্দুদের জন্য তাঁর লজ্জা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন সোনম। তাঁর দেশে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাতেও নাকি তিনি আনতে পারছেন না বলে টুইটারে করা পোস্টে লিখেছেন সোনম। পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা ফারহান আখতারও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘একবার ভেবে দেখুন একটি ৮ বছরের মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে, ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং বন্দি বানানো হচ্ছে। দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে এবং শেষে তারা তাকে খুন করছে। যদি এরপরও আপনি তাঁর আতঙ্ককে অনুভব করতে না পারেন তাহলে আপনি মানুষ-ই নন। আপনি যদি আসিফার জন্য বিচার পেতে সওয়াল করেন তাহলে আপনি কিছুই নন।’
অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, একটা ৮ বছরের শিশুকে অপহরণ করে মন্দিরে গণধর্ষণ করে খুন করা হল। কারণ, সে সেই মুসলিম পরিবারের মেয়ে যাদের কে এলাকা থেকে উৎখাত করতে চাইছিল হিন্দুত্বের মৌলবাদীরা।’ অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ লিখেছেন, ‘৮ বছরের মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করা হল এবং তার বিচারের জন্য লড়াই করা বাবার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু। আমাদের হয় আসিফার জন্য গলা চওড়া করতে হবে না হলে নীরব দর্শকের মতো থাকতে হবে। উঠে দাঁড়ান, সেরকম হলে একা একাই আওয়াজ ওঠান।’ চলচ্চিত্র পরিচালক শীর্ষ কুন্দর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন,’দয়া করে এই লেখাটা পড়ুন। যদি আপনার রক্ত গরম হয়ে ওঠে তাহলে এই লেখাটা শেয়ার করুন। এটাই সঠিক সময় কারণ একদল কিছু শয়তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। মানবিকতা আজও বেঁচে আছে আমাদের সেটা প্রমাণ করতে হবে।’
অভিনেত্রী টিসকা চোপড়া লিখেছেন, ‘খুবই বেদনাদায়ক, মর্মান্তিক এই ঘটনা। সরকার কতটা কড়াভাবে এতে কাজ করে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন। যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আমি এদের আর ভোট দেব না।’ অভিনেতা রাহুল বোস তাঁর টুইটার অ্য়াকাউন্টে লিখেছেন, ‘ধারণার বাইরে এক ঘটনা। যা শুধু রোজ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তা নয়, সমস্ত স্তরে একটা অসন্তোষ তৈরি করেছে। সমাজের কোন দিকটা আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তা আমাদের ঠিক করতে হবে’। এমনকী, রিচা চাড্ডা, রণবীর শো-এর মতো অভিনেত্রী, অভিনেতারাও আসিফা-র জন্য গর্জে উঠেছেন।
অক্ষয় কুমার তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সমাজ হিসাবে আমরা ব্যর্থ। আসিফার নিস্পাপ মুখটা আমাকে লড়াই থেকে সরে আসতে বাধা দিচ্ছে। যে কোনও মূল্যে বিচার পাওয়া উচিত’। অভিনেত্রী দিয়া মির্জা লিখেছেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। রাগে ও ক্ষোভে আমি ফুঁসছি। আসিফা-কে কতটা নৃংসতা সহ্য করতে হয়েছে ভেবে আমি ভেঙে পড়েছি। একদল অপরাধি যারা আমাদের মনের ঐক্যকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে’! সূত্র : বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ