পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম মির্জা রুহুল আমিনের সহধর্মীনী এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাতা ফাতেমা আমিন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মরহুমার বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে বিএনপি মহাসচিবের মায়ের মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়েই দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমান ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মির্জা ফখরুলকে ফোন করে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। মির্জা ফখরুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় আজ শুক্রবার বাদ আছর ঠাকুরগাঁও হাইস্কুল মাঠে নামাজে জানাযা শেষে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হবে মরহুমা ফাতিমা আমিনকে। এর আগে গত ১ মার্চ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ইবরাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ফাতিমা আমিন উত্তরায় ছেলের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দ্রæত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ইবরাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে প্রফেসর ডা. এম এ রশিদের তত্ত¡াবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। মরহুমার ছেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে তাকে সময় দিচ্ছিলেন। ফাতিমা আমিনের স্বামী মরহুম মির্জা রুহুল বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
জানা গেছে, মরহুমা ফাতেমা আমিন ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে রেখে গেছেন। বড় মেয়ে মির্জা নিগিনা আমিন। তার স্বামী সাবেক সেনা প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান। অন্যরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা ইকবাল আমিন, মির্জা ফয়সাল আমিন (ঠাকুরগাঁও পৌর সভার মেয়র), মির্জা নাজমা বেগম, মির্জা নাজু বেগম ও মির্জা তাজু বেগম। ফাতেমা আমিনের মৃত্যুতে গতকাল দুপুরেই বারডেম হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামা ওবায়েদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব রাজধানীর গুলশানে আজাদ মসজিদে প্রথম নামাজে জানাযা হয়। জানাযা নামাজে অংশ নেন বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সরকারের বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন, শেখ শহীদুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শাহজাদা মিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, সালাহউদ্দিন ভুইয়া শিশির, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। বিশ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জাগপার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবের্ক গভর্ণর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, লায়ন মোস্তাফিজুর রহমানসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে মরহুমার কফিন বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় ইউএস বাংলার একটি কার্গো বিমানযোগে মরহুমার কফিন সৈয়দপুর বিমান বন্দরে এবং পরে সড়ক পথে লাশবাহী গাড়ীতে করে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের হাজী পাড়ায় তার নিজ বাসভবনে নেয়া হবে। আজই বাদ আসর ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল মাঠে মরহুমার নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তারেক রহমানের শোক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ফাতেমা আমিনের মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি মেধা ও শ্রম দিয়ে তার সন্তানদের সুশিক্ষিত ও সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ধর্মপ্রাণ নারী হিসেবেও তিনি সকলের কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। একজন রাজনীতিবিদের স্ত্রী এবং রাজনীতিবিদ সন্তানের মা হিসেবে তার কর্তব্য ও ভ‚মিকা স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিচিতজনদেরকে অভিভুত করতো। তিনি সমাজসেবার অংশ হিসেবে দুঃখী ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করতেও ছিলেন উদারহস্ত। মাতা হিসেবে তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সেটি তার সন্তানদেরকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে। মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করি মরহুমার শোকাহত পরিবারবর্গ যেন এই মৃত্যুশোক সইবার ক্ষমতা লাভ করেন। আমি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
ওবায়দুল কাদেরের শোক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গর্ভধারিণী মা ফাতিমা আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক শোক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের শোক: বিএনপি মহাসচিবের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাসদ (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিজেপি সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফজা জামাল হায়দার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, লেবার পার্টির একাংশে চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মুসলীম লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমট্যাব) এর মহাসচিব মোহাম্মদ বিপ্লব উজ্জামান, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ, ড্যাবের সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবলদল, জাসাস, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল প্রমুখ। মির্জা ফখরুল তার মায়ের মৃত্যুতে যারা শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এবং তার মায়ের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।