Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় মাদক ও জঙ্গিবাদ -আইজিপি

রংপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:৩৪ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) বলেছেন, আমাদের দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক ও জঙ্গিবাদ। যে কোন মুল্যে দেশ থেকে মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। মুলতঃ দেশের উন্নয়ন ও পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করতেই আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ ঢুকানো হয়েছে। কিন্তু আমরা পিছপা হইনি। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। তিনি গতকাল বুধবার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি ও মাদক প্রতিরোধ বিষয়ক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে জঙ্গিবাদ প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ দমনে নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আমরাও দেশে জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করছি। তিনি আরও বলেন, মাদক মরণ ব্যাধি। এই মরণ ব্যাধি মাদক পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমাজের শান্তি-শৃঙখলা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমারা মাদক নিরাময়ে পুনর্বাসন কর্মসূচি চালাচ্ছি। যারা ফিরে আসতে চায় তাদের জন্য সব সময় সহযোগিতার হাত খোলা থাকবে। সবার সহযোগিতা পেলে মাদক নির্মূলে আমরা বিশ্বে রোল মডেল হতে পারবো। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদের মূল টার্গেট আপনারা। তাই আপনাদেরকে সচেতন হতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের দলে ভিড়ানো হচ্ছে। তাই সচেতনাসহ বন্ধু নির্বাচনে আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অঞ্চলভেদে অপরাধের ধরণ ভিন্ন হয়, তাই আমাদের বিশেষ ইউনিট কাজ করছে। জঙ্গি নির্মূলে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছি। তিনি যে কোন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম বলেন, ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত করতেই জঙ্গিরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পারি তা দূর করতে। ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে দেশের স্বার্থে জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করতে হবে। দেশের আইন শৃঙ্খলা ঠিক না থাকলে কোনকিছুই ঠিকভাবে চলবে না। শুধু প্রশাসন চাইলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা মাদক ব্যবসায়ী দের মাদক ব্যবসা থেকে সরিয়ে এনে তাদেরকে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের জন্য এই সুযোগ সব সময় থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমানের সঞ্চালনায় ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি) এর প্রো-ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এম আবুল কাশেম মজুমদার, বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রক্টর ড.ফরিদুল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ। পরে তিনি রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত পুলিশ সমাবেশ এবং পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।



 

Show all comments
  • nurul alam ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৩৬ পিএম says : 0
    আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা যখন মাদক বিষয়ে কথা বলেন তখন অবাকই লাগে । বাংলাদেশের ইতিহাসে মাদকের এ রমরমা বাণিজ্য এবং বিস্তার ইতিপূর্বে আর ঘটেছে কিনা জানা নেই । রাজনৈতিক অস্থিরতার আড়ালে এদেশে যেভাবে মাদকের বিস্তার লাভ করেছে তা বোধ হয় কারো অজানা নেই । পুলিশ কিংবা র‌্যাব যখন রাজনীতির মাঠে সরকার বিরোধীদের দমনে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে তখন এসব সামাজিক ব্যাধিরতো প্রসার ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । মাদক সম্রাট যখন কারাগার হতে বেরিয়ে সদর্পে মাঠ চষে বেড়ায় এবং সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী যখন তাকে আবারো আগামীর এমপি বানানোর ঘোষণা দেন তখন মাদকের আগমন কী রোধ হবে ? আইন শৃংখলা বাহিনী ঐ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে কতটুকু কার্যকর সেটাও আমাদের অজানা নয় । মিডিয়ায় রাজনৈতিক দল বিশেষের নেতা-কর্মীদের হাতে-নাতে মাদকসহ ধরা পড়ার সংবাদ হরহামেশাই প্রকাশিত হচ্ছে । কিন্তু কৈ কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিকার চোখে পড়ছে ? নিশ্চয়ই না । দেশের নিরপত্তা যারা রক্ষা করবে কিংবা নিরাপত্তা রক্ষাকরা যাদের দায়িত্ব তারা যদি দলবিশেষ এর ক্যাডার হন এবং তারাও যদি দলীয় সরকারে বিলীন হয়ে যায় তাহলে এসব হতে মানুষ তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা পাবে কীভাবে ? আমরা কী দেখছি আর কীরকম শাসন অনুভব করছি- এ প্রশ্নের জবাবে অনেক দৃশ্য এবং কর্ম আমাদের সম্মুখে ভেসে আসে যা আমরা অভিরতই ভোগ করছি । নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রের কোন দলের নয় আর রাষ্ট্রও কোন দলের নয় দেশবাসীর । সুতরাং নিরাপত্তা বাহিনীকে এসব মনে রাখা উচিত কারণ তাদের বেতন-ভাতা দেশবাসী সম্মিলিতভাবেই দিয়ে যাচ্ছে । আর জঙ্গীবাদ ? জঙ্গিবাদ নির্মুল সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব । যেখানে কোন শান্তিপ্রিয় মানুষ জঙ্গীবাদকে সমর্থন করেনা সেখানে কোনভাবেই জঙ্গীবাদ বিস্তার লাভ করতে পারবেনা । আর যদি জঙ্গীবাদকে কোন হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় তাহলে এদেশ হতে কষ্মিনকালেও জঙ্গী নির্মুল হবে না ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশের উন্নয়ন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ