পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতারে প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : যুগোপযোগী আইন ছাড়া একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পুরনো আইনগুলোকে যুগোপযোগী করে তা পার্লামেন্টে পাস করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চেষ্টা করছি আমাদের বিচারবিভাগ এবং আইনজীবীরা যেন প্রত্যেকেই স্ব-স্ব কর্মস্থলে সুন্দর পরিবেশে কাজ করতে পারেন। তার জন্য যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের গতি যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই রমজান মাসে আপনাদের কাছে দোয়া চাই যেন দেশের উন্নয়নের গতিটা অব্যাহত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবন থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাতে সব ধরনের উদ্যোগের পাশাপাশি আইনজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ’৯৬ সালে ২১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু যেহেতু এরপর আমরা পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারিনি, সেজন্য আমাদের অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনার মতো এটির কাজও বিএনপি-জামায়াত সরকার বন্ধ করে দেয়। আবার আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর রহমতে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর ওই ভিক্ষার ঝুলির দেশ নয়। আমাদের বাজেট আমরা বৃদ্ধি করেছি, বাজেটের শতকরা ৯০ ভাগ আমরা উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করছি। মাথপিছু আয়, রিজার্ভ বৃদ্ধি করেছি, মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত মে মাসে আমরা এই মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ ভাগে নামিয়ে আনতে এবং প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক শূন্য ৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। কাজেই কেউ আমাদের অবহেলার চোখে দেখবে এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য না। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং সমগ্র বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। কিন্তু সবসময় বিশ্বাস করি আমরা মুক্তিযুদ্ধেও বিজয়ী জাতি, কাজেই আমরা কখনও নিম্ন থাকতে পারি না, আমাদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে এবং এই চিন্তা-চেতনা নিয়েই আমাদের চলতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করেন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ভোট ও ভাতের আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আইনজীবীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
ইফতারির আগে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।