মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা যে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে মস্কো। ব্রিটেনে বসবাসরত সাবেক দ্বৈত চর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর কথিত বিষ প্রয়োগের ঘটনায় যখন রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা বেড়ে চলছে তখন আমেরিকা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা কোনো হামলা অথবা রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব না দিয়ে ছাড়ব না।” মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার ৩৮ জন ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সাত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং ১৭ জন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার শিকার রুশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্যাসপ্রম, বুরিনি ও রেনোভা’র মতো বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর মালিকরা রয়েছেন। এছাড়া, রয়েছেন ১১ জন রুশ জেনারেল। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথিত হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সাত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ১৭ সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ২৪ জনের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী ‘ক্ষতিকর কর্মকান্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে এ অবরোধ আরোপ করা হয়। অবরোধের আওতায় আসা সাত প্রভাবশালীর অধীনস্থ ১২ কোম্পানি, রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও একটি ব্যাংকের ওপরও এই অবরোধ বলবৎ হবে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার ‘দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়া’ থেকে যারা সুবিধা আদায় করছিল তাদেরকে লক্ষ্য করে এই শাস্তি আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে এ অবরোধ আরোপিত হয়েছে। এ ছাড়া, ক্রিমিয়া, পূর্ব ইউক্রেন ও সিরিয়ায় রাশিয়ার পদক্ষেপের কারণেও এই অবরোধ। মনুচিন রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষপরায়ণ সাইবার কর্মকান্ড’ চালানোর অভিযোগ আনেন এবং বলেন, ‘পুতিনের শাসন থেকে সুফল ভোগকারীদের অবরোধের লক্ষ্যে পরিণত করা হয়েছে।’ পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন ধনকুবের ওলেগ দেরিপাসকা এবং আইনপ্রণেতা সুলেইমান কারিমভের মত ব্যক্তিরা। নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ জব্দ হবে। গত শুক্রবার এক বিব্রিতিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন বলেছেন, রাশিয়ার ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সমাজ ব্যবস্থা থেকে যারা লাভবান হচ্ছে তাদের জন্য এ শাস্তি। তাছাড়া, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ক্রিমিয়া, পূর্ব ইউক্রেইন ও সিরিয়ায় রাশিয়ার কর্মকান্ডের জবাবেও নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিউচিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য সাইবার হামলার অভিযোগও তুলেছেন। তিনি বলেন, পুতিনের সরকার থেকে যারা সুবিধা পাচ্ছেন তারাও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। মস্কোর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া এটিই সবচেয়ে আগ্রাসী পদক্ষেপ। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং সাইবার হামলার অভিযোগে ১৯ রুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাছাড়া, যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ৬০ কূটনীতিককেও বহিষ্কার করেছে। পার্সটুডে, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।