Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের পর মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা সৎ বাবার

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সৎ বাবা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণ ও গ্যাসের আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টায় ঘটনায় মুন্নির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। গতকাল সকালে তিনি ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে গিয়ে মুন্নির সাথে দেখা করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালকে সাথে কথা বলেন। গত বুধবার হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়া ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রোটা. আহসান হাবিব অরুনের সহযোগিতায় মুন্নিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মুন্নি (১৮) উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। আবু বকর লাইলি বেগমকে তালাক দেয়ার পর সে আবদুল লতিফকে বিয়ে করে। মুন্নির সৎ বাবা আবদুল লতিফ মুন্নিকে দীর্ঘ দিন ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। একদিন ধর্ষণের সময় বিষয়টি তার স্বামী সোহাগ দেখে ফেলে। এর পর সোহাগকে মারধর করে তাদের বাড়ী থেকে তাঁড়িয়ে দেয়।
গত ২৩ মার্চ সোমবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজার হকার্স মার্কেটের আলমগীরের ভাড়া বাড়িতে মুন্নিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্যাসের আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে সৎ বাবা আবদুল লতিফ। খবরটি মোবাইল ফোনে তার স্বামী সোহাগকে জানানো হয়। সোহাগ ওই বাড়ীতে আসতেই মুন্নিকে সাথে নিয়ে সৎ বাবা আবদুল লতিফ ও মা লাইলি বেগমসহ হাজীগঞ্জ থানায় যায়। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম মুন্নির সাথে কথা বলতে চাইলে তার সৎ বাবা লতিফ মুন্নিকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, সোহাগ মুন্নিকে যৌতুকের জন্য আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করে। তখনই পুলিশ সোহাগকে আটক করে। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্ত করে এবং অগ্নিদগ্ধ মুন্নির সাথে কথা বলে এ লোমহর্ষক ঘটনা জানতে পারে বলে নিশ্চিত করেন ।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো.জাবেদুল ইসলাম জানান, মুন্নি ও মুন্নির স্বামী দু’জনেই প্রতিবন্ধী। প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। প্রতিবন্ধী মেয়ের উপর তার সৎ বাবা দীর্ঘ দিন ধরেই ধর্ষণ করে আসছিল। ভয়ে মেয়েটি তা প্রকাশ করেনি। তিনি আরো জানান, শুধু হাজীগঞ্জের বাসাতেই নয় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সৎবাবা আবদুল লতিফ মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। নিজে করেছে এবং টাকার জন্য অন্যকে দিয়েও ধর্ষণ করিয়েছে। মেয়ের মুখের বক্তব্য থেকে এমন কথা শোনা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ