মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুর সদর উপজেলা কালিকাপুর এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় গ্রæপের ২৫টি বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। গত সোমবার মধ্য রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক জনকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আকনের সাথে একই ইউনিয়নের শাহেবালি মাদবরের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। এই দ্ব›েদ্বর জের ধরেই সোমবার রাতে উভয় গ্রæপ দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই গ্রæপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। এছাড়াও কমপক্ষে ২৫টি বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে শহিদুল খানের ২টি ঘর, ইদ্রিস খানের ৪টি, মোসলেম খান, খোকন খান, তেলাম খান, ইউনুস খান, বেলায়েত খান, সেলিম আকন, জব্বার আকন, হাবিব আকন, আতাবার আকন, শাহজাহান আকন, সোবাহান মোল্লা, খালেক মোল্লা ও বাদল চোকদারের বসতঘরসহ ২৫টি ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ভূক্তভোগি অভিযোগ করে জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান কালু খানের অনুসারী এক গ্রæপের এবং অপর গ্রæপ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের অনুসারী। এদের প্রভাব দেখিয়ে আওয়ামী লীগের উভয়পক্ষ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সে নাম বলেনি। দুই গ্রæপেরই মামলা প্রক্রিয়াধীন।