Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার ও দুদোকের একই উদ্দেশ্য -মওদুদ আহমদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:০৫ পিএম

আওয়ামী লীগ সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একই উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সরকার ও দুদক অভিন্ন উদ্দেশ্য কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ বলেন, আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এই দুদক সরকারের একটা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। সরকারের যে উদ্দেশ্য, দুদোকের উদ্দেশ্যও একই। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে তারা যাতে নির্বাচনে না আসতে চায়। সরকারকে বলব- আপনারা যত ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করুন না কেনো, যতই কলাকৌশল করেন না কেনো, যত রকমের ষড়যন্ত্র করেন না কেনো, যতভাবে আমাদের নিষ্পেষিত করেন না কেনো বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটাই প্রমাণিত হবে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে এবং সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

দলের ৮ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে দুদোকের তদন্ত সম্পর্কিত গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৮ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রে দিয়ে এই চরিত্রহননের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটাও তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ। উদ্দেশ্য একটাই- বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা এবং বাকী শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া যাতে করে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। এমন অবস্থা করা যাতে এই দল নির্বাচনে আসতে না পারে। এটাই হলো তাদের মূল্য লক্ষ্য। সরকারের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এটা কখনো গ্রহণ করবে না।

সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, দুদক সম্পর্কে কি বলব। এই কমিশন তো আমরাই করেছিলাম অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সত্যিকার অর্থে যারা দুর্নীতি পরায়ণ বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দুর্নীতি ধরবে, একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এখন এই দুদক সরকারের একটা তল্পিবাহক একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে এই কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করবার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আমাদের দলকে দুর্বল করা যাবে না। প্রধান মন্ত্রীর প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচনে সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী বলে এর কঠোর সমালোচনা করেন মওদুদ।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৮:৪৩ পিএম says : 0
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দেশের একজন প্রবীন আইনজীবী সাথে সাথে একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ তারপর আবার তিনি দেশে এখন যে তিনটি রাজনৈতিক দল রয়েছে সব দলের স্বাদ তিনি নিয়েছেন কাজেই তিনি এদের সবারই নীতি জানেন সাথে সাথে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব জনগণের নেতা হিসাবে পালন করেছেন তাই তিনি অবশ্যই আইন প্রণয় থেকে শুরু করে প্রয়োগ করা পর্যন্ত সবকিছুই অবগত আছেন। এখন এমন একজন নেতার কাছ থেকে তোষামোদি ধারার বক্তব্য অভিজ্ঞ মহল কখনো আশা করেনা এটাই সত্য। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীরা এইত সেদিন দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালন সেমিনারে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির বিচার প্রথমেই করার বক্তব্য দিয়েছেন। শুধুমাত্র দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ আমলাদের কথা বলেছেন। ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব নেয়ার পরথেকেই আমলাদের দুর্নীতির দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলে আসছেন। কিন্তু সরকারি দল থেকে এমন কি বিরুধী দলগুলো এব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করায় তিনি সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছেন না কারন তাঁর হাত পা আইনের জালে আবদ্ধ। এটাও তিনি প্রকাশ্যে বলে থাকেন। এবার অবশ্য বক্তারা রাজনীতিবিদের সাথে আমলাদের জড়িয়েছেন সেটা অবশ্য এমনিতেই রাজনীতিবিদদের পাকড়াও করলে সাথে আমলারা এসে যাবে কিন্তু ইকবাল সাহেব চাচ্ছে রাজনীতিবিদদের যেমন পাকড়াও করবেন তেমনি আমলাদেরও পাকড়াও করবেন এটাই সঠিক পথ আমার মনে হয়। আজ দুদক দেশের সকল স্তরের এমনকি বিএনপির সমর্থক যারা সেদিন বক্তব্য রেখেছেন তাদের দেয়া সিদ্ধন্ত মোতাবেক অগ্রসর হচ্ছে ঠিক তখনই একজন প্রবীন নেতা মওদুদ আহমেদ এর বিরুধিতা করে বসলেন!!! আরো একটা কথা আমরা জানি সেটা হচ্ছে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তারাই আইন প্রণয়ন করেন এবং সরকারি এজেন্সি গুলো সেটাই বাস্তবায়িত করে থাকে এটাই সঠিক পথ তাই না?? আমরা বুঝি যে, সরকারি দল যখন কোন আইন করেন সেই আইন যদি তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য করে থাকে তাহলে পরবর্তী দল ক্ষমতায় এসে এটাকে অবৈধ আইন ঘোষনা করে এর প্রয়োগকে বে আইনি করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। ................. তাই মহান শক্তিশালী দয়ালু আল্লাহর কাছে মুনাজাত তিনি যেন আমাকে সহ সবাইকে যে জ্ঞান দিয়েছেন সেটা সঠিক পথে ব্যাবহার ও প্রয়োগ করার শক্তি প্রদান করেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সরকার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ