বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ ১৪ রজব। আহলে বাইতের ষষ্ঠ ইমাম ও হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আওলাদগণের অন্তর্ভুক্ত ইমাম জাফর সাদিক (আ:)। তিনি ১৪৮ হিজরির ১৪ রজব সোমবার বাদ এশা মদীনায় ওফাত লাভ করেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ কিতাবে তাঁর শান-মান সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। ইমাম জাফর সাদিক (আ:) ৯৬ হিজরির ১৭ রবিউল আউয়াল সোমবার মদীনায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন আল্লাহপাক ও হুযূরপাক (সা.) এর অতীব নৈকট্য ও তায়াল্লুকপ্রাপ্ত।
তিনি এমন ওলীআল্লাহগনের অন্তর্ভক্ত ছিলেন, উনারা যা হতে বলতেন তাই হতো। কুরআনের ভাষ্য অনুয়ায়ী তারা ছিলেন মহান আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় ক্ষমতাবান। ইমাম জাফর সাদিক (আ:) ছিলেন তাদেরই অন্যতম। উনার এক উপাধী ছিল সাদিক, অর্থ সত্যবাদী। উনার সত্যবাদীতার গভীরতার কারণে, সব মানুষের কাছে তিনি সাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ওয়ারিশ সূত্রে আল্লাহ পাক প্রদত্ত ইলমে গাইবের অধিকারী ছিলেন। ইমাম জাফর সাদিক (আ:) ছিলেন সর্বাধিক দানশীল। তিনি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে দান খয়রাত করতেন। কোন লোক জানতে পারত না কে এই দাতা। অবশ্য উনার ওফাতের পর এই রহস্য প্রকাশ হয়েছিল। ইমাম জাফর সাদিক (আ:) তরিকতের ক্ষেত্রে দুদিক থেকে খাস ফয়েজ ও তাওয়াজ্জুহ পেয়েছিলেন। প্রথমতঃ স্বীয় সম্মানিত পিতা হযরত ইমাম মুহম্মদ বাকির (আ.)‘র নিকট থেকে। দ্বিতীয়তঃ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম কাসিম (আ.) থেকে তিনি খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেছিলেন। তাই মুসলমানদের উচিত। উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতি ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। সরকারের উচিত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে আহলে বাইতগণের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা। যাতে নতুন প্রজন্ম আহলে বাইতের ইমামগণ সম্পর্কে জেনে তাঁদেরকে মুহব্বত, তাযীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক ও রাসূল (সা.) সন্তুষ্টি হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আহলে বাইতগণের সম্পর্কে এরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবিব (সা.) আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত ও আমার আওলাদগণের প্রতি সদাচারণ করবে,’ (শূরা : ২৩)। হাদিসে রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমার আহলে বাইত ও আওলাদগণকে মহব্বত কর আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।