রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দল থেকে বহিস্কারের প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সান্তাহার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন,সান্তাহার পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আসলাম সিকদার। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৭১ সালে বাবার হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করি। সাবেক সাংসদ কছিম উদ্দীন আহম্মেদের হাতে আমার রাজনীতি হাতেখড়ি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক বিপদ মাথায় নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি। আমি ১৬ বছর পৌর যুবলীগের ও ৬ বছর রিক্সা ও ভ্যান লীগের সভাপতি ছিলাম। গত ২৮ মার্চ আমাকে দল থেকে বহিস্কারের একটি চিঠি দেয়া হয়। আমি এই চিঠি পেয়ে দারুনভাবে মর্মাহিত হয়। আমি এ ধরনের অগণতান্ত্রিক বহিস্কার মানি না। আমাকে একমাত্র দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ছাড়া কারো বহিস্কারের এখতিয়ার নেই। আমি বর্তমান দলের কতিপয় শীর্ষ নেতার আক্রোশের শিকার। তাদের বিভিন্ন অপকর্ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর খুনির দল ফ্রিডম পার্টির দুজন সদস্যকে উপজেলা কমিটির সহ সভাপতি পদে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা কমিটির ওই সকল নেতারা এখানকার আওয়ামীলীগকে ধংসের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।ওই নেতারা এলাকার কয়েক হাজার লোকজনের কাছ থেকে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। লোকজন তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে মামলার হুমকি দেয়া হয়। এ সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক ভাবে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।