পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : তমাল আর মৌমিতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এরমধ্যে খবর আসে মৌমিতা সুমিতের প্রেমে পড়েছে। ঘটনা জানতে মৌমিতার মুখোমুখি তমাল। মৌমিতার সাফ জবাব সুমিতের সাথে শুধু প্রেম নয়, তাকে অনেক আগে কোর্টে গিয়ে বিয়েও করেছি। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তমালের মাথায়। রাগে-ক্ষোভে কষে চড় মৌমিতার গালে। মৌমিতাও কম যায় না। সে চড়ের প্রতিশোধ নিয়েছে এসিডে। এসিডে জ্বলসে গেছে তমালের চেহারা, চিরতরে নিভে গেছে একটি চোখের আলো। বাংলা সিনেমার কাহিনীকেও হার মানানো এ ঘটনার ‘নায়িকা’ মৌমিতা দত্ত অ্যানি (২৪) অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন। স্বামী সুমিত দত্তসহ (২৬) তাকে গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রামে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শুক্রবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার ভাড়া বাসা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিবি পরিদর্শক রাজেশ কান্তি বড়ুয়া জানান, তমালের সঙ্গে মৌমিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একই সময়ে মৌমিতা সুমিতের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান। মৌমিতা ও সুমিত গোপনে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিষয়টি জানার পর তমাল মৌমিতাকে চড় মারে। এই চড়ের প্রতিশোধ নিতে তমালকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মুখে এসিড মারা হয়। এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি নগরীর কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জে গুডস হিলের পাশে। ঘটনার পর ২৩ ফেব্রæয়ারি তমাল চন্দ্র দের বাবা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানার কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র দে বাদি হয়ে মৌমিতা ও তার স্বামী সুমিত এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মৌমিতা দত্ত অ্যানি ও তার স্বামী সুমিত দত্ত উভয়ই নগরীর বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। স্নাতক পাস তমালের দূর সম্পর্কের আত্মীয় মৌমিতা। ২০১৫ সালে তমাল ও মৌমিতার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক বছর পর তমাল জানতে পারে, মৌমিতা সুমিতের সঙ্গে ৫ বছর ধরে প্রেম করে আসছে। বিষয়টি শোনার পর তমাল মৌমিতাকে একটি রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মৌমিতা সুমিতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে এবং তাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে বলেও জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মৌমিতাকে চড় মারেন তমাল। চড়ের প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে মৌমিতা ও সুমিত। একপর্যায়ে সুমিত উপযুক্ত বদলা নেয়ার হুমকি শোনায় তমালকে। এই ঘটনার কিছুদিন পর প্রজাপতির ডানা নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বন্ধু হবার আমন্ত্রণ পান তমাল। নিয়মিত কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে ওই আইডি থেকে দেখা করার অনুরোধ করা হয়।
কথামতে, সাক্ষাতের জন্য তমাল রহমতগঞ্জে গুডস হিলের কাছে গেলে এক যুবক তার মুখে এসিড ছুঁড়ে মারে। তমালের দাবি, ওই যুবকই মৌমিতার স্বামী সুমিত। মৌমিতার পরিকল্পনায় তার স্বামী এ ঘটনা ঘটায়। এসিডে ঝলসে গেছে তমালের মুখমÐল। তার চেহারা এখন বিকৃত। তমালের এক চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পর সুমিত ও মৌমিতা গ্রেফতার এড়াতে ঢাকায় চলে যান। সেখানে মৌমিতা একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সুমিত কয়েকটি টিউশন নেন। এভাবেই তাদের সংসার চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ তাদের দু’জনকে ধরে আনে। গতকাল বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানী শেষে মহানগর হাকিম ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে দু’জনকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।