নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়ান ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। কিন্তু মহিলা ফুটবলে যে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। হংকংয়ে অনুষ্ঠিত জকি ক্লাব অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানকে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কেবল বড় জয়ই নয়, তহুরা ও শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিকও ছিল ম্যাচে লাল সবুজ বাহিনীর বড় পাওয়া। এর আগে ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলে নিজেদের মাঠে ইরানকে ৩-০ গোলে হারানোর অভিজ্ঞতা ছিল বাংলাদেশের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আরও বড় ব্যবধানে জয় পেল লাল সবুজের মেয়েরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষ ইরানকে চাপে রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ফলে একের পর এক গোল পেতে অসুবিধা হয়নি মারিয়া মান্দাদের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশ শুরুতেই এগিয়ে যায়। প্রথম মিনিটেই গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন তহুরা খাতুন (১-০)। মিনিট বারো পর নিজের দ্বিতীয় (২-০) এবং ২৯ মিনিটে টানা তিন গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তহুরা (৩-০)। মিনিট তিনেক পর অ্যানাই মগিনি দলকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে শামসুন্নাহার গোল করলে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে লাল সবুজের মেয়েরা। বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও গোলক্ষুধা যেন এতটুকুও কম ছিল না তহুরা-শামসুন্নাহারদের। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় (৬-০) এবং মিনিট চারেক পর আরও গোল করে তহুরার পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন শামসুন্নাহার (৭-০)। দু’জনকে হ্যাটট্রিক করতে দেখে উজ্জীবিত হয়েছিলেন আনাই মগিনিও। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যান তিনি (৮-০)। কিন্তু বাকি সময়ে আর গোলের দেখা না পাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিকের হাটট্রিকটি আর হতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের অন্তিম সময়ে ইরান এক গোল শোধ দিলে হারের ব্যবধান দাঁড়ায় ১-৮ গোলে। চার দলের টুর্নামেন্টে খেলা হচ্ছে লিগ ভিত্তিতে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলটি চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিতবে। আজ শেষ ম্যাচে বিকেল সাড়ে তিনটায় স্বাগতিক হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে তহুরা-সামসুন্নাহাররা।
চার দলের এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ১০-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন তহুরা। এ নিয়ে দুই ম্যাচে ৫ গোল করা এই ফরোয়ার্ড শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে চান, ‘নিয়মিত গোল করতে পেরে আমি খুব খুশি। এখন আমরা শেষ ম্যাচে আমাদের সবটুকু দিয়ে হংকংকে হারাতে চাই; দেশের জন্য শিরোপা জিততে চাই।’ কিশোরীদের গর্বিত কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও তাকিয়ে আছেন এই শেষ ম্যাচের দিকে, ‘গত দুই ম্যাচে সবমিলিয়ে মেয়েদের পারফরম্যান্সে আমি দারুণ খুশি। এখন আমি হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।