রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের ৪৮৫ মিটার কাচা রাস্তা পুননির্মাণ প্রকল্পর কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনমজুর দিয়ে সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। কাজের প্রাক্কালে প্রকল্প অতিরিক্ত সীমানায় একই রাস্তায় বেকু দিয়ে মাটি কর্তন নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু রাস্তাটি পুননির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে মজুর দিয়েই রাস্তা পুননির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান বলেন, ‘ওই গ্রামের কাবিটা প্রকল্পটি ছিল ৪৮৫ মিটার রাস্তা পূুননির্মাণ। কিন্তু জনস্বার্থে প্রকল্প অতিরিক্ত রাস্তায় মাত্র একদিন বেকু লাগানো হয়েছিল, প্রশাসনিক চাপে তাও বন্ধ করে দিয়েছি’। আর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু বলেন, ‘প্রকল্প অতিরিক্ত রাস্তায় হোক আর যাই হোক, কাজ চলাকালে বেকু লাগানোর খবর শোনামাত্র আমরা দ্রুত গতিতে বেকুটি অপসারণ করেছি এবং পরে লেবার দিয়ে প্রকল্প কাজ করা হয়েছে’।
জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্বদিকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাথাভাঙ্গা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদফতর ওই গ্রামের ঘনবসতি এলাকার ৪৮৫ মিটার কাঁচা রাস্তা পুননির্মাণের উপর একটি কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্প দেন। এ প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা। চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ঝর্ণা বেগমকে সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম মৃধাকে সেক্রেটারি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কিমিটি করা হয়। গত ক’দিন আগে কাজ শুরু করলে বেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে প্রকল্পটি বন্ধ রাখেন উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন সভাপতি ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল গ্রামবাসীর জন্য পুরো রাস্তাটি পুননির্মাণ করবেন। প্রকল্প রাস্তা মাত্র ৪৮৫ মিটার, অর্থাৎ অর্ধ কিলোমিটারের কম। তাই প্রকল্পের অতিরিক্ত রাস্তায় একদিন বেকু লাগানো হয়েছিল, তাও প্রশাসন করতে দেয়নি’। মঙ্গলবার নির্মাণাধীন রাস্তা ঘেঁষে অনেক বসতির মধ্যে একজন মোতালেব মোল্যা (৬২) জানায়, বেকু লাগানো হয়েছিল এ ঘনবসতি এলাকা ছেড়ে অনেক দূরের পদ্মা নদীর পাড় এলাকায়, তার কারণে আমাগো রাস্তা নির্মাণ বন্ধ রাখাটাই অবিচার’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।