মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি প্রকল্প নিয়ে নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এরপর তাতে যুক্ত হয়েছে ভারত। তারা শ্রীলঙ্কায় তিনটি উইন্ডফার্ম নির্মাণে একমত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল নয়াদিল্লি। ২০২০ সালে হিমালয়ের পাদদেশে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে ঘুষাঘুষিতে ভারতের কমপক্ষে ২০ এবং চীনের চারজন সেনা সদস্য নিহত হয়। ভারতের দক্ষিণে এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থিত পক প্রণালীতে তিনটি ছোট্ট দ্বীপে এক কোটি ২০ লাখ ডলারের উইন্ড টার্বাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে দেয়া হয়েছিল চীনা কোম্পানিকে। এতে অর্থায়ন করার কথা ছিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের। কিন্তু ভারতের খুব নিকটবর্তী উপকূলে চীনের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে থাকে ভারত। ফলে ওই প্রকল্পের কাজ কখনো শুরুই হয়নি। এক পর্যায়ে নাইনাতিভু, আনালাইতিভু এবং ডেল্টা দ্বীপে এই প্রকল্প বাতিল করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কলম্বোতে ভ্রমণকালে মঙ্গলবার যৌথ একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই স্থাপনা নির্মাণে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা বলেছেন, এই প্রকল্পে এডিবির পরিবর্তে অর্থায়নে রাজি হয়েছে ভারত। ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, চীন যে দ্বীপে প্রকল্প নির্মাণ করতে চেয়েছিল নতুন চুক্তিতে সেই একই দ্বীপে তা নির্মাণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি জানেন না। এ প্রকল্প সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানা যায়নি। শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত চীনা রাষ্ট্রদূত কি ঝেনহং গত সপ্তাহে বলেছেন, প্রকল্পের দ্রুততা নিয়ে অসন্তুষ্ট চীন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এর মধ্য দিয়ে কার্যকর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে ভারত সন্দিহান এটা সবাই জানেন। কারণ, শ্রীলঙ্কা হলো বিস্তৃত ভারত উপমহাদেশের একেবারে দক্ষিণের অংশ। তবে এই কাজ পাওয়াকে ভারতের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন সিনিয়র সাংবাদিক এবং শ্রীলঙ্কায় পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক বিশ্লেষক লিন ওকারজ। শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে চীন ও ভারত। ১৯৪৮ সালে বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বাজেভাবে অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলা করছে এখন শ্রীলঙ্কা। উভয় দেশের কাছে আরও ঋণ চেয়েছে কলম্বো, যাতে তাদের বৈদেশিক রিজার্ভকে গড়ে তোলা যায়। খাদ্য, জ্বালানি এবং ফার্মাসিউটিক্যালস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয জিনিসপত্র কিনতে পারে। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।