নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক কর্যক্রমেই এখন আর আগের চিত্র চোখে পড়ে না। বিশেষ করে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের জমজমাট নির্বাচন তো বর্তমানে প্রায় নির্বাসনে। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে যেখানে ফেডারেশনগুলোতে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেখানে তা না হয়ে অ্যাডহক কালচার যোগ হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) হঠাৎ জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা হলে বিপাকে পড়েন যোগ্য ক্রীড়া সংগঠকরা। বর্তমানে দেশের বেশ ক’টি গুরুত্বপূর্ণ ফেডারেশন ও সংস্থা চলছে অ্যাডহক কমিটির আওতায়। এই কমিটি নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য আসলেও বছরের পর বছর চেয়ার আকড়ে বসে আছে।
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন। এই ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে হয়েছে ইতোমধ্যে। তোরজোড় চলছে নতুন নির্বাচনের। নির্বাচনে দু’টি প্যানেল হওয়ায় জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দেশের বক্সিং সংগঠকরা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, যেন নির্বাচনী উত্তাপে পুড়ছে বক্সিং ফেডারেশন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নয়জন প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে দু’প্যানেলই। যার ফলে সংগঠক পরিষদের একজন সহ-সভাপতিকে সামনে রেখেই প্যানেল পরিষদ তৈরী করেছে তারা। এক প্যানেলে সেলিম-কুদ্দুস পরিষদ ও অন্যদিকে সেলিম-তুহিন পরিষদ।
গত চার বছরে বক্সিংয়ের নানা টুর্নামেন্ট ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আসন্ন নির্বাচনে একই পদে প্রার্থী এমএ কুদ্দুস খান। এই প্যানেলে তৃণমূলের সংগঠক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থার কর্মকর্তা রয়েছেন। এই প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন রানার গ্রæপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, তেমনি প্রার্থীতায় রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান। এছাড়া সিনিয়র সদস্য পদে লড়ছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী। প্যানেল প্রসঙ্গে কুদ্দুস বলেন,‘তৃণমূলের সংগঠক (সংগঠক পরিষদ), ক্লাব প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে নিয়েছি। মূলত বক্সিং ফেডারেশনে সব শ্রেণীর সংগঠকদের অবাদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে চেয়েছি আমরা। যাতে দেশের বক্সিংকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়।’ অন্যদিকে দেশের বক্সিং ক্লাবগুলোকে জোটবদ্ধ করেই নির্বাচনে নেমেছে সেলিম-তুহিন পরিষদ। কাউন্সিলর থাকা ৩৮টি ক্লাবই নাকি তাদের প্রধান শক্তি-এমনটাই মনে করছেন এই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী মাজাহারুল ইসলাম তুহিন। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের এই সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বক্সিং ফেডারেশনে একটি পরিবর্তন চাই। এই খেলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। বক্সিং তার জায়গায় ফিরে আসুক এটাই চাই।’ সাবেক এই ফুটবলার যোগ করেন, ‘বক্সিংয়ে মহানগরের কোন টুর্নামেন্ট নেই। আমরা আসলে সেটা যোগ করবো। তাছাড়া একটি বর্ষপঞ্জি করেই আমরা রিংয়ে খেলা গড়াবো। ভোটে জিততে আমাদের বড় শক্তি এখন ৩৮টি ক্লাব এবং জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ।’
বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোট রয়েছে ৭৯টি। জেলার ১৭ ও বিভাগের আটটি, ক্লাবের ৩৮, এনএসসি’র পাঁচটি এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, বিকেএসপি, রেলওয়ে, বিজেএমসি, কলেজ, রেফরি ও জাজ, কোচেস অ্যাসোসিয়েশন ও সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদকের একটি করে ভোট রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।