পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও গোলাগুলির মধ্যে দেশের ১৩৩ স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সাধারণ, বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন, পৌরসভা সাধারণ ও বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন এবং খুলনা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১টি করে সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু সেটা করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির ও সতন্ত্র প্রাথীরা। এদিকে অনেক ভোচ কেন্দ্র সরকার দলীয় প্রার্থী জয়লাভ করেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। এরপর ভোট গণনার সময় বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ও মারামারির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই নির্বাচনে দিনব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি স্থানে জাল ভোট প্রদান, ব্যালট বাক্স ও পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর লোকজন ও এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শত শত। এছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় টাঙ্গাইলে বিএনপির এক কমী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ৪৭টি ও বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন বা স্থগিত নির্বাচন ৭২টি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ১টি, পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন ৪টি ও বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন বা স্থগিত নির্বাচন ৭টি এবং খুলনা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ১টি করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের ১৩৪টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে একটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বাসসকে বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড ও উপজেলায় সাধারণ ও উপ-নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটপ্রদান করতে পারেন সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১জন অফিসারসহ ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৪জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১৩জনসহ সর্বমোট ২০জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসারের ২টি করে মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্লাটুন ও র্যাবের ২টি করে টিম মোতায়েন ছিল।
জানা গেছে,টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদিঘী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইকালে পুলিশের গুলিতে বিএনপির একজন নিহত হয়েছেন। এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপকভাবে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে করে। সেখানে দুপুরে অনেক ভোটার ভোট দিতে এসে দেখেন, সেখানে কোনো ব্যালট পেপার আর অবশিষ্ট নেই। অভিযোগের পর অভিযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হন রিটার্নিং কর্মকর্তা। গতকাল কাল ৮টায় ভোট শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই আর বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে এ জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের দোষারোপ করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগের মধ্যেই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের আরপিননগর কে বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার না থাকায় ভোট স্থগিত করতে বাধ্য হয়। এর আগে জাল ভোট দেওয়া নিয়ে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বাগ্বিতার ঘট্না ঘটে। ফলে ওই কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে পৌরসভা উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ভোটকেন্দ্র কেন স্থগিত করা হয়েছে, তারও কোনো উত্তর দেননি। এর আগে ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে ব্যালট পেপারের একটি বই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর পরই পাশের কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের ঘটনা ঘটল।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার ও বরুড়া সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার বরুড়ার ৩টি ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালে নৌকার কর্মীদের কেন্দ্র দখল, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, বিএনপি সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জাল ভোটের অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ভোট বর্জনসহ ওই ৩টি ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী। বেলা ১২টার দিকে বরুড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন। এর আগে প্রার্থীরা উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে নৌকার প্রার্থী-কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন, খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রব, শিলমুড়ী উত্তর ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী নুরু, শিলমুড়ী দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ আলমসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা এ নির্বাচন বাতিল করে এসব ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। ৩টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। বরুড়ার ৯নং দক্ষিণ শিলমুড়ি দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯টি ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলমের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের বাঁশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, নৌকার সমর্থকরা সকল কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে তার সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় কেন্দ্রের অদূরে নৌকার সমর্থকদের রাস্তায় মহড়া দিতে দেখা গেছে। আলী আহমেদ (৭৮), আবদুল মতিন (৬৫), জুলেখা বেগম (৬০)সহ বেশ কয়েকজন পুরুষ ও নারী ভোটার জানান, ‘প্রায় ২০ বছর পর এ ইউনিয়নে ভোট দেয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে গেলে কর্মকর্তারা জানায় আমাদের ভোট নাকি দেওয়া হয়ে গেছে। মনে হয় ভোট দেওয়ার অধিকার আমাদের আর কখনো হবে না।’ সকাল সোয়া ৯টার দিকে লগ্নসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের জয়কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অনেকটা ভোটার শূন্য। ভোটাররা জানান, জয়কামতা বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে নৌকার কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ভোটাররা ভয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নৌকার কর্মীরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ খান (হোন্ডা) সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, জয়কামতা কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই নৌকা প্রতিকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করলেও পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ও এসআই মোয়াজ্জেম এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও বরুড়ার পয়ালগাছা কলেজের অধ্যাপক সুনীলেশ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য ভূমিকা না রাখায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না। তবে জেলা নির্বাচন অফিসার অফিসার মো. খোরশেদ আলম জানান, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য প্রার্থীদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
ব্যালট ছিনতাইকালে পুলিশের গুলিতে নিহত ১
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সাগরদিঘি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে জোরপুর্বক ব্যালট পেপার ছিনাইয়ের সময় পুলিশের ছুড়া গুলিতে বিএনপির একজন নিহত হয়েছে। নিহতের যুবকের নাম মালেক মিয়া (৩২)। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, সাগরদিঘী ইউনিয়নের সোনামুড়ি গুপ্তের বৃন্দাবন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল ভোর রাত ৪টার দিকে এক দল সন্ত্রাসী জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে যায়। এ সময় ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ গুলি ছুড়ে। ঐ কেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী বুলবুলি বেগম জানান, নিহত মালেক তার দেবর। সে পুলিশের ছুড়া গুলিতে নিহত হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার সালাহ উদ্দিন ঐ কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘাটাইল উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন, টাঙ্গাইল সদরে একটি ও কালিহাতীতে একটি ইউনিয়ন ও এলেঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
লক্ষণপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী
বেনাপোল অফিস জানায়, যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলী প্রার্থী আনোয়ারা খাতুন বিপুল ভোটে বিজয়ী হযেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারা খাতুন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীক নিয়ে ২৯ ভোট পেয়েছেন এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাত্র ৭ ভোট পেয়েছেন।
সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয় চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। ৯টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। আনোয়ারা খাতুন আওয়া লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কামাল হোসেন দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আওয়ামীলীগের দু‘প্রার্থীর দ্বন্দের সুযোগ নিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোতাচ্ছিম হোসেন খোকন আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। শার্শার লক্ষনপুর ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭‘শ ৬৭ জন। দলীয় কোন্দল থাকায় ৯টি কেন্দ্রই ঝুকি পূর্ণ বলে মনে করেছেন নির্বাচন কমিশনার। নিরাপত্তার জন্য মোবাইল টিম সহ বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী পুলক কুমার মন্ডল বলেন, সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪ টায় শেষ হয়। সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। ভোটা চলাকালীন কোথাও কোন অপৃতিকার ঘটনা ঘটেনি। শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন শান্তি গত ৯ জানুয়ারী রাতে মারা যাওয়ায় এ উপনির্বান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য মনোনিত হন।
কাঞ্চনে পৌর ৪নং ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে আসাদুজ্জামান বিজয়ী
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে আসাদুজ্জামান মোল্লা (পানির বোতল) ১৫৫৫ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদন্ধি আমিনুল হক ভুইয়া (উট পাখি) পেয়েছেন ১৫৪০ ভোট, দেওয়ান আশরাফুল (পাঞ্জাবী প্রতীক) ৮৬৪ ও আরমান মিয়া (ডালিম) ১৬ পেয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উত্তর আরপিননগর ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম খন্দকার ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা এসে ৪০ পৃষ্ঠার একটি ব্যালট বই ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। বইটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দেওয়ান গণিউল সালাদীন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘৪০ পৃষ্ঠার নয়, ১০০ পৃষ্ঠার পুরো বইটি ছিনতাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাদের বখতের তিনজন সমর্থক এসে বই ছিনতাই করে নিয়ে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।