নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ক্রিকেটারদের আয় উপার্জনের প্রধাণ মাধ্যম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। তবে নিয়মের ফাঁদে পড়ে বেশিরভাগ ক্রিকেটারকেই সন্তষ্ট থাকতে হচ্ছে নিজেদের প্রাপ্য অর্থের অর্ধেকে। খেলোয়াড়দের এই দুর্দশা দেখার কেউ নেই। নিরব ভূমিকা পালন করছে ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (কোয়াব)।
বর্তমানে বিসিবির অনেক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে খেলোয়াড়েরা একমত নন। তাঁদের স্বার্থ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করতে পারে যে সমিতি, সেই কোয়াব কতটা সক্রিয়, কতটা কার্যকর, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ। দুজনই বিসিবির পরিচালক। প্রশ্ন উঠেছে, খেলোয়াড়দের নিয়ে দর-কষাকষির জায়গায় কি কোয়াব আছে? যেখানে সংগঠনের দুই শীর্ষ ব্যক্তিই বোর্ডের সঙ্গে জড়িত! শুধু তা-ই নয়, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল একজন কাউন্সিলর।
কোয়াবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি থেকেই এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় দলসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ক্রিকেটাররা। প্রাথমিকভাবে জহুরুল ইসলাম অমিকে আহ্বায়ক করে নিজেদের মধ্যে একটা কমিটিও করেছে তারা। এই বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি কোয়াবের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিব-মাশরাফিদের নেয়া পদক্ষেপকে ভুল মনে করছেন তিনি, ‘ওরা যদি মনে করে আমরা ওদের প্রতিপক্ষ, সাহায্য করছি না, এটা করলে ভুল হবে। তারপরেও আমি বলবো ওরা বড় হয়েছে, এটা ওদের খেলা, ওরা সিদ্ধান্ত নেবে, ওরা যদি কমিটি গঠন করে বোর্ডের সাথে লড়াই করে স্বাভাবিক থাকে, ওদেরটা আদায় করতে পারে, সেই চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু এটা সবার জন্যই একটা ভুল বার্তা হবে। আমি মনে করি এখানে লড়াই করে কিছুই হবে না। এটা আলোচনার ব্যাপার। বোর্ডের সাথে আলোচনা করতে হবে। আর ওরা যদি এই কমিটির ওপরে আত্মবিশ্বাসী না থাকে তাহলে কোয়াবের তো একটা নিয়ম আছে.কমিটি বাতিল করা, নতুন কমিটি করা। নিয়মের মধ্য দিয়েই সব হবে, আমি বিশ্বাস করি।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে বিসিবি প্লেয়ার্স ড্রাফট জুড়ে দেয়ায় ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দের দলে খেলতে পারছেন না। পাচ্ছেন না প্রত্যাশিত পারিশ্রমিকও। এর ফলে কোয়াবের সহায়তা চেয়েও পাননি ক্রিকেটাররা। ফলে তারা বেঁছে নিয়েছেন তারা। এই বিষয়টিকেও ভালো চোখে দেখছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘সভা হয়েছে জানি। কিন্তু কি কথা হয়েছে সেটা জানি না।আমি জানি না ওরা কি চাচ্ছে। ঠিক ক্লিয়ার না। ওদের এটা ভুলে গেলে চলবে না গত অনেক বছর ধরে আমরা কোয়াবকে যেভাবে হোক টিকিয়ে রেখেছি। নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করেই টিকিয়ে রেখেছি। কেউ তো সমর্থন করতো না। আমরা খুবই খুশি যে বোর্ড আমাদের অ্যাফিলিয়েশন দিয়েছে। আমাদের কথা শোনে না তারা। একটা সময় ছিল যখন বোর্ড কোয়াবের কথা শুনতোই না। খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষাটা আমাদের বড় দায়িত্ব। আবার এটাও ভুলে গেলে চলবে না, দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলি, তাই বোর্ডের একটা অঙ্গ; বোর্ডের অধীনেই আমরা একটা প্রতিষ্ঠান।’
সাকিব-মাশরাফিদের দাবি কোয়াবের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা নাইমুর রহমান দুর্জয় ও খালেদ মাহমুদ সুজন বোর্ডের কর্মকর্তা হওয়ায় তারা খেলোয়াড়দের পক্ষে কথা বলছেন। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছেন সুজন। এই সাবেক ক্রিকেটারের বিশ্বাস তারা যদি কমিটিতে না থাকেন তবে তবে খেলোয়াড়রা তাদের দাবি দাওয়া বোর্ডের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না।
সুজনের ভাষ্যমতে, ‘আমরা বোর্ডে আছি বলেই তারা এত সুবিধা পাচ্ছে। আমরা বোর্ডে না থাকলে কিছুই পেত না। এইটুকু বলতে পারি আমি-দুর্জয় যদি বোর্ড মিটিংয়ে থাকি, বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করি, আমরা বোর্ড মিটিংয়ে কথাগুলো বলতে পারি। আমি-দুর্জয় এই কমিটিতে থাকবো না, এর মধ্যে বলেছিও। আমরা যদি না থাকি, যারা থাকবে তারা কিভাবে বোর্ডের সাথে লড়াই করবে। তারা তো অনুমোদিত না। কিভাবে কথা বলবে? তারা চিঠি দিতে পারে সিইও বরাবর সেটা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।