বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এক লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার একে খান মোড় ও সদরঘাট থানার বরিশাল কলোনী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসহাকের দুই পুত্র মোঃ মোবারক (৩৬) ও মোঃ সালমান (২৩)। এছাড়া আলাদা অভিযানে গ্রেফতার মোঃ আরজু ওরফে আকাশের (২৬) কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে মোবারক ও সালমানকে আটক করা হয়। তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মোবারক ও সালমান দুই ভাই, তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল বিক্রি করতে। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চেক উদ্ধার করা হয়। র্যাবের ধারণা ইয়াবা বিক্রির টাকা তারা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে।
এদিকে গতকাল ভোরে সদরঘাট থানার বরিশাল কলোনির মালিপাড়ায় আকাশের বাসা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইলিয়াছ খান জানান, অভিযানকালে দৌড়ে পালানোর সময় পুরাতন রেল স্টেশনের কাছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আকাশকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে এলজি ও চার রাউন্ড গুলি এবং ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বাসায় বেশকিছু ট্রাভেল ব্যাগও পাওয়া গেছে। এতে পুলিশ সন্দেহ করছে, আরজু ওরফে আকাশ ছিনতাইয়েও জড়িত।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) কামরুজ্জামান বলেন, আরজু একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী। বরিশাল কলোনি এবং চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সে অস্ত্রও মজুদ রেখেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতারের জন্য আসলে তাদের উপর হামলা করে আরজু পালিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার পর পুরিশ আরজুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরজু জানিয়েছে, বরিশাল কলোনিকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য সাহাবুদ্দিন ও মাঈনউদ্দিন তাদের দলনেতা। তারাই আরজুকে ইয়াবা এবং অস্ত্র দিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা শুধু মাদক ব্যবসা নয়, ছিনতাইয়েও জড়িত। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ট্রেন যাত্রীদের ব্যাগ টান দেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে তারা জড়িত বলে স্বীকার করে সে। আরজু, সাহাবউদ্দিন এবং মাঈনউদ্দিনের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আরজুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী, ডবলমুরিং এবং সদরঘাট থানায় আরও চারটি মামলা আছে বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।