Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে ওষুধ সেবনের টার্গেট

১ এপ্রিল থেকে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৭ই এপ্রিল দেশে ২০তম রাউন্ড কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। এবার ওষুধ সেবনকারী শিশুর কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এই সপ্তাহ পালন ও ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সকল শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে কৃমি নাশক ওষুধ সেবন করানো হবে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভা কক্ষে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম-এর আওতায় এপ্রিল-২০১৮’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সংশ্লিষ্টরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ও লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. সানিয়া তহমিনা, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. আব্দুস সবুর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার সাবিনা, মাধ্যমিকের সহকারী পরিচালক দুর্গারানী সিকদার, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোহাম্মদ জহিরুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কনসালট্যান্ট ডা. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান।
ডা. সানিয়া তহমিনা জানান, কৃমির পুণঃসংক্রমণ রোধ কল্পে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্বন্ধে শিশুদের সচেতন করা হচ্ছে। ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে শিশুদেরকে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বাস্থ্য শিক্ষা দেবার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। যা ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবী বাহিত রোগব্যাধি থেকেও পরিত্রাণ পাবে। ডা. সানিয়া তহমিনা কৃমির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলেন, কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, যার দরুন শিশুরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষণ করে ফলে শিশুরা রক্ত শূন্যতায় ভোগে। বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট সৃষ্টি করে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায় ফলে শিখন ক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণী কক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধা সৃষ্টি করে। এপেন্ডিসাইটিস এবং অন্ত্রের অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করে, যার ফলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। কৃমির অতিশয় সংক্রমণ মৃত্যুর কারণও হতে পারে বলে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উল্লেখ করেন। কৃমি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, পরিবারের সবাই একত্রে বছরে কমপক্ষে দুইবার (৬ মাস পর পর) কৃমির ওষুধ সেবন করা। খালিপায়ে চলাফেরা না করা এবং পায়খানা ব্যবহারের সময় স্যান্ডেল পরা। পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। হাতের নখ ছোট রাখা আর এজন্য সপ্তাহে একবার নখ কাটা। খাদ্য দ্রব্য ঢেকে রাখা। খোলা বা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়া, ফল-মূল খাওয়ার আগে তা নিরাপদ পানি দ্বারা ধোয়া এবং প্রতিবার খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা। অনুষ্ঠানে সর্বশেষ ২০১৫-২০১৬ সালের জরিপে (শিশুদের মলে কৃমির ওভা বা ডিমের উপস্থিতি) কৃমি সংক্রমনের হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ বলে তুলে ধরা হয়। সেটা ২০০৫ সালে ৫ থেকে ১৪ বছরের বয়সী শিশুর মধ্যে ছিল ৩২ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ