নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
![img_img-1720395046](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678440025_nnn.jpg)
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইনজুরির কারণে ছিলেন না মেসি-আগুয়েরো। ছিলেন না আক্রমণের আরেক সারথী ডি মারিয়াও। কিন্তু এর কোন কিছুই কি আর্জেন্টিনার এমন হতচ্ছাড়া পরাজয়ের কারণ হতে পারে। ইস্কোর হ্যাটট্রিকে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন।
এই আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আশাহত হতেই পারেন ফুটবল ভক্তরা। হতচ্ছাড়া রক্ষণ আর আক্রমণভাগের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কি ব্যাখ্যা আছে কোচ জর্জ সাম্পাওলির কাছে। এদিনের পর গঞ্জালো হিগুয়েইনকে যদি জাতীয় দল থেকে স্থায়ীভাবে বাদ দেয়ার চিন্তাও করেন সাম্পাওলি তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আর্জেন্টিনার ব্যর্থতাকে বড় করে দেখলে অবশ্য স্পেনের অর্জনকে খাটো করা হয়। কিন্তু আসল ব্যপারটা ছিল ঠিক এর উল্টো। আক্রমণে যেমন নিখুঁত ছিলেন ইস্কো-আসর পাস-কস্তারা, তেমনি মিডফিল্ডে অসাধারণ ছিলেন ইনিয়েস্তা। আর পিকে-রামোসদের রক্ষণ নিয়ে তো আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। তবে বল এদিন যতবারই পিকের পায়ে গেছে ততবারই পড়েছেন বিদ্রূপের মুখে। কারণ? কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের বজ্রকন্ঠ।
মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনে প্রথমার্ধেও স্কোরলাইনটা সহনীয় পর্যায়ে ছিল। ডিয়াগো কস্তা ও ইস্কোর গোলে এসময় ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল স্প্যানিশরা। সফরকারীদের হয়ে হেডারের মাধ্যমে একটি গোল শোধ দেন নিকোলাস ওটোমেন্ডি। ১২তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল দেয়ার সময় কস্তার সঙ্গে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর মারাত্মক সংঘর্ষ হয়। এর ১০ মিনিট পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোমেরো। দ্বিতীয়ার্ধে কস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইগো আসপাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টালমাটাল আর্জেন্টিনাকে ৩ মিনিটের ব্যবধানে আরো দুই গোলে ডোবান ইস্কো ও থিয়াগো আলকানতারা। ৭৪তম মিনিটে ইস্কো হ্যাটট্রিকপূর্ণ করার ঠিক আগ মুহূর্তে পঞ্চম গোলটি করেন আসপাস। এর পরপরই ইস্কোকে তুলে নেন কোচ হুলেন লোপেতেগুই। স্বস্তির বিষয় হলো শেষ ২৫ মিনিটে কোন গোল হজম করতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। আর আশ্চর্য বিষয় হলো, গোলমুখ বরাবর ছয়টি শট নেয় স্পেন এবং এর সবকটিই চাল খুঁজে নেয়।
এ নিয়ে ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো। ইউরো ২০১৬এর নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর দায়ীত্বে আসেন লোপেতেগুই। সেই থেকে এখনো হারেনি স্পেন। বিশ্বকাপের আগে সুইজারল্যান্ড ও তিউনিশিয়ার বিপক্ষে আরো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে স্পেন। ১৫ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল।
প্রীতি ম্যাচের একই রাতে জেসুসের গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল জার্মানরা।
একই রাতে ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।