পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুলআলোচিত রাজধানীর বাংলামোটরে একটি মিছিল থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে হয়রানির ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করলেও জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। একই সাথে ভ’ক্তভোগি নিজেও কাউকে শনাক্ত করতে পারছেন না বলে তদন্তকারী পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছেন। হেনস্থায় শিকার কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারকারী সেই ট্টাফিক পুলিশ সদস্যের বক্তব্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার আব্দুল বাতেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সিসি টিভি’র ফুটেজ বিশ্লেষণ করাসহ জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলেও জড়িতদের শনাক্ত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভ’ক্তভোগি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জড়িতদের শনাক্ত করতে পারছেন না। খুব দ্রæত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ছাত্রী হয়রানি করার ঘটনা সত্যি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ভিকারুন্নেসার যে ছাত্রীকে হয়রানি করা হয়েছে, এ কথা সত্য। আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরাধী যে দলেরই হোক ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওই মেয়েটির জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। তার দেয়া বর্ণনা ও ঘটনার সময় অনুযায়ী শাহবাগ, শান্তিনগর, বাংলামটরসহ এর আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন নাম পরিচয় বের করে তাদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যের জবানবন্দী রের্কড করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তার জবানবন্দী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আসামীদের শনাক্ত করার ও গ্রেফতারে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যেভাবে ঘটনা জানাজানি হলো
গত ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি মিছিল থেকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে-এমন অভিযোগ করে লেখা ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টির নিন্দা আসে। এরপর বৃহস্পতিবার ৮ মার্চ এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলামোটরের ঘটনার শিকার ওই কলেজছাত্রী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে লেখেন- শান্তিনগর মোড়ে একঘণ্টা দাড়্য়া থেকেও কোন বাস পাইলাম না। হেটে গেলাম বাংলামটর। বাংলামটর যাইতেই মিছিলের হাতে পড়লাম। প্রায় ১৫-২০জন আমাকে ঘিরে দাড়াইলো। ব্যস! যা হওয়ার থাকে তাই। কলেজ ড্রেস পড়া একটা মেয়েকে হ্যারাস করতেসে এটা কেউকেউ ভিডিও করার চেষ্টা করতেছে। আমার কলেজ ড্রেসের বোমাত ছিড়ে গেছে, ওড়নার জায়গাটা খুলে ঝুলতেছে। ওরা আমাকে থাপড়াইসে। আমার শরীরে হাত দিসে। আমার দুইটা হাত এতগুলা হাত থেকে নিজের শরীরটাকে বাঁচাইতে পারে নাই। এই স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই তরুণী স্ট্যাটাসটি ‘অনলি মি’ করে নিজের প্রোফাইলে লিখেছেন, আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। পোস্টটা অনলি মি করেছি কারণ পোস্টটা রাজনৈতিক উস্কানিমূলকভাবে শেয়ার করা হচ্ছিল। আমি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পোস্টটা দেইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।