Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাড়াশ শিশুপার্ক ধ্বংসের দারপ্রান্তে

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

“বড় হওয়ার পাশাপাশি শিশুর মানসিক পরিপক্বতার জন্য দরকার বাইরের পৃথিবীর আলো-বাতাস, একটুকরো খোলা মাঠ। শিশু যদি আনন্দ নিয়ে কোনোকিছু শিখতে পারে তাহলে তা আর সারাজীবনেও ভুলে না।”
তৎকালীন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ রায়হান কবির ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক চার একর জায়গার ওপর তাড়াশ শিশুপার্কটি গড়ে তোলেন। মরহুম সংসদ সদস্য গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার ২০১৪ সালের ২৯ জুলাই শিশুপার্কটির উদ্বোধন করেন। নাম দেয়া হয় তাড়াশ শিশুপার্ক। যা বর্তমানে ধ্বংসের দারপ্রান্তে।
তাড়াশ সদরের নিকটবর্তী পরিত্যক্ত হাঁস-মুরগি খামার নামক একটি স্থানে চার একর জায়গার ওপরে গড়ে তোলা শিশুপার্কটির নাগরদোলা, সিøপবোর্ড, দোলনা, ব্যালান্স বোর্ডসহ শিশু-কিশোরের আনন্দ-বিনোদনের সব উপকরণ দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। আর উধাও হয়ে গেছে প্যাডেলচালিত আনন্দ তরী। পার্কজুড়ে গঁজিয়েছে আগাছার পর আগাছা। এ সময় পার্কটির নিকটবর্তী ভাদাশ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল লতিব, খোকন আলী, মোস্তফাসহ অনেকে জানান, পার্কটি উদ্ভোধনের পর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থেকে শ’ শ’ শিশু-কিশোর ভিড় জমাতো এখানে। তাদের হই হুল্লোড় আর কোলাহলে মুখর থাকত সবসময় পার্ক চত্তর। আর ঈদ, পূজাসহ সকল জাতীয় দিবসে শিশু-কিশোর আর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সব বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হতো পার্ক আঙিনা। অথচ মাত্র চার বছরের ব্যবধানে একেবারে ধ্বংস হতে বসেছে তাড়াশ শিশুপার্কটি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি মো. আব্দুল হক জানান, বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই পার্কটির ভঙ্গুর অবস্থা উত্তোরণে কার্যকরীপদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ