Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীলফামারীতে খড়খড়িয়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি

নীলফামারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জানের পাড় গ্রামস্থ খড়খড়িয়া নদী হতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে দু’জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে করে নদী সংলঘ্ন বসতবাড়ী ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ও বালু নিয়ে যাওয়া-আসা করায় ওই এলাকার রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান গত দুই মাস ধরে ওই এলাকার প্রভাবশালী রোকনুজ্জামান কাজল ও সোহেল সরকার খড়খড়িয়া নদীর ওই স্থান থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে । প্রতিদিন এক থেকে দেড় শত ট্রাক্টর মাটি ও বালু বিক্রি করে থাকেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও বালু উত্তোলন করার ফলে নদী সংলগ্ন জানের পাড়া, সরকারপাড়া ও বসুনিয়া পাড়ার বসতবাড়ী ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন নদী থেকে শত শত ট্রাক্টর বালু নিয়ে যাওয়া-আসা করায় ওই এলাকার রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়ে পড়েছে। ট্রাক্টর যাওয়া-আসার সময় রাস্তার ধুলো উড়িয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ীতে করে পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়া দিনরাত ট্রাক্টরের শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গ্রামের লোকজন। এদিকে বালু বহনকারী ট্রাক্টর দিয়ে সমপ্রতি জানের পাড় মসজিদ সংলগ্ন প্রতিবন্ধী আফজাল হোসেনের বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আফজাল হোসেন সীমানা প্রাচীর মেরামত করতে চাইলে উল্টো তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন বালু উত্তোলনকারীরা বলে জানান আফজাল হোসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৪টি ট্রাক্টরে করে নদী থেকে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রাক্টর চালকরা জানান ভাড়ার চুক্তিতে তারা নদী থেকে মাটি ও বালু পরিবহন করছে। জানের পাড় গ্রামের রাজু বসুনিয়া , মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, হজরত আলীসহ অনেকে জানান প্রভাবশালী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন।। উত্তোলনকৃত বালু ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করায় এলাকার রাস্তা-ঘাট নষ্টসহ মানুষের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা ও গাছপালা নষ্ট করা হচ্ছে। নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয় লোকজন। বালু উত্তোলনকারী রোকনুজ্জামান কাজল জানান নদীর যে জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সে জায়গাটি এক সময় তাদের ছিল, এখন নদী হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার জানান নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তোলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ