রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চগড়ে কাজ না করেই কাগজ কলমে কাজ দেখিয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ও রুটিন মেইনটেনেন্স কাজের এক কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে আটোয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা হারে ৭৪ লাখ ও রুটিন মেইনটেনেন্স কাজের জন্য ৭২টি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা হারে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী এ প্রকল্পের কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কোনো স্কুলেই কাজ শুরু হয়নি। অথচ ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে বরাদ্দের অর্থ যেন ফেরত না যায় সেজন্য উত্তোলন করা হয়েছে, পরে আমরা কাজ বুঝে নিয়ে অর্থ ছাড় করব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষুদ্র মেরামতের এসব কাজ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) মাধ্যমে করার কথা। কিন্তু বিদ্যালয়গুলো কেনাকাটা না করেই দোকান থেকে ফাঁকা ভাউচার সংগ্রহ করে। এরপর তাতে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) অনুযায়ী লিখে হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে সমুদয় টাকা ছাড় নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। আর এই ভুয়া ভাউচার তৈরিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের লোকজন সহায়তা করেছেন।
সরেজমিনে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার ১০টি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সমাপ্তির বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিদ্যালয়গুলো কাজ শুরুই করেননি। যদিও কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা ৩০ জুনের মধ্যে তোলা হয়েছে।
অনিয়ম অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছাইফুল আলম বলেন, বরাদ্দের টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে আনার নিয়ম আছে। পরে বিদ্যালয়গুলোর কাজ দেখে অর্থ ছাড় দেয়া হবে।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, গত ৩০ জুনের আগে বিভিন্ন সময় হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে অর্থ ছাড় করানো হয়। ওই টাকা বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোর অ্যাকাউন্টে না দিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ বিষয় আমার জানা নাই। তবে অনেক সময় বরাদ্দকৃত অর্থ বছরের শেষে পাওয়া যায় তখন বিল উত্তোলন করে শিক্ষা অফিসারের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়, পরে কাজ তদারকি করে অর্থ ছাড় দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।