Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগঞ্জে অধ্যক্ষকে পিটিয়ে আহত

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন : এলাকায় উত্তেজনা

লক্ষীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রামগঞ্জ ফতেহপুর জে ইউ ফাজিল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধু শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনেরমত ক্লাস বর্জন অব্যাহত রেখেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সভাপতির অনুসারীদের বাধার মুখে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে না পারায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে মাদরাসার সভাপতি রাকবিুল হাসান তার বাড়ীতে অধ্যক্ষকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। বর্তমানে অধ্যক্ষ রামগঞ্জ রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিগত সময় থেকে মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাদরাসার বিভিন্ন বিষয়ে বাধা দেয়ার কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আটকিয়ে রাখেন। চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী মাসের বেতন ৮মার্চ দেয়ার কথা থাকলেও সভাপতি স্বাক্ষর না দেয়ায় বেতন উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। বার বার সভাপতিকে মোবাইলে কল দিলেও সভাপতি ফোন রিসিভ না করায় বিষয়টি তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে সভাপতি ক্ষুব্ধু হয়ে ২১ মার্চ বুধবার দুপুরে তাকে ও অফিস সহকারী নুর হোসেনকে বেতন বইতে স্বাক্ষর করার কথা বলে সভাপতির বাড়ীতে ডেকে নেন। এসময় সভাপতি অফিস সহকারী নুর হোসেনকে মাদরাসায় চলে যেতে বললে নুর হোসেন মাদরাসার আসার কিছুক্ষন পরেই অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে চড়-থাপ্পড় ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। কয়েক মিনিট পর অধ্যক্ষ লাইব্রেরীতে এসে সকল শিক্ষকদের সাথে সভা ডেকে বিষয়টি জানানোর এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে মাদরাসার অন্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে রামগঞ্জ হসপিটালে নিয়ে আসলে কিছুক্ষন পর সভাপতি রাকিবুল হাসানও হসপিটালে চুটে আসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাকিবুল হাসান মাসুদ জানান, অফিসে সিসি ক্যামেরা আছে আমি অধ্যক্ষকে কিছুই করিনি। উনি অজ্ঞান হওয়ায় আমি তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি। তিনি আরো জানান, মাদ্রাসায় কোন সভা-সেমিনারে আমাকে জানানো হয় না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া জানান, বিষয়টি উপাধ্যক্ষ সাহেব আমাকে মোবাইলে অবগত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু ইউসুফ জানান, একজন অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। মাদরসার উপাধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক আমার সাথে দেখা করেছেন। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিয়ে আটকিয়ে রাখা সভাপতির কাজ নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তেজনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ