বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বর্তমান সরকারের শাসনামলকে ভয়ঙ্কর বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আমাদের এক বিরাট সংকটকাল চলছে। শুধু বিএনপির জন্য নয়, জাতীয়তাবাদী শক্তিসমূহের জন্য নয়, সারা জাতির জন্য। আমার জীবনে এমন সঙ্কট দেখি নাই। অনেক আন্দোলন দেখেছি, অনেক বড় বড় সঙ্কট দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে সঙ্কটসময় দেখেছি কিন্তু এরকম অবস্থা যা বর্ণনা করা যায় না। বাংলাদেশের এখন কোনো সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনির্দিষ্ট কারাবাস, অসহায় বিচার ব্যবস্থা : বাংলাদেশ কোন পথে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সভার আয়োজন করে।
মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার পথ হলো দুটি। এর মধ্যে একটা আইনের পথ, আরেকটা হলো রাজপথ। আমাদের আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করতে হবে। এর পর রাজপথে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থাকে কলঙ্কজনক অধ্যায় বলাও যথেষ্ট নয়। ১৯৭৫-এর সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চেয়ে অনেক নিম্নমানের একদলীয় শাসন চলছে। এর চেয়ে নিম্নমানের শাসন আর হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে জনসভা করে ভোট চাইছেন। আর খালেদা জিয়া যিনি তাকে পরাজিত করবেন তিনি এখন জেলখানায়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খাতা কলমে সব আছে। কিন্তু আসলে কিছু নেই। ভয় ভীতি দেখিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছিলেন নিম্ন আদালত নির্বাহী বিভাগের অধীনে দিলে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। তাকে অপসারণ করা হয়েছে। এতে কোনো আইনের প্রয়োজন হয়নি।
মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকার নতুন পথ দেখিয়েছে। যদি তার বিরুদ্ধে কেউ রায় দেন তার বিরুদ্ধে নিজের ছেলেপেলে নামিয়ে দেবেন। মিছিল মিটিং হবে। দুদক তো বসেই আছে। বিতর্কিত করে দেবেন। এরপর তাকে নিজ ইচ্ছায় বিদায় নিতে হবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব জায়গা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি মানুষের অন্তরে থেকে যাবেন।
সংগঠনের সহসভাপতি আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বিলকিস ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফর, মেজর (অব:) মিজানুর রহমান মিজান, নূরুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।