গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে উন্নয়নশীলদের কাতারে। এ দেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। স্বপ্নপূরণের এই আনন্দে ভাসবে আজ বাংলাদেশ।
এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার।
‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’- এমন স্লোগানে সেখানে মুখর হবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা জাতি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ উৎসবে শামিল হবেন দেশের সরকারপ্রধান ও স্বপ্নপূরণের কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
আর এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজধানীর নির্ধারিত ৯ স্থান থেকে ৫৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধীন দফতরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ জনগণ ব্যানার, ফেস্টুনসহ র্যালি নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকবেন। র্যালি সমবেত হওয়া এবং ৯ স্থান থেকে র্যালি করে স্টেডিয়ামে ঢোকার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং চারপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হবে।
যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে র্যালির সময় শাহবাগ, কাকরাইল মসজিদ, নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চানখাঁরপুল, বকশীবাজার, পলাশী, নীলক্ষেত অঞ্চলে ডাইভারশনের প্রয়োজন পড়বে। এ অবস্থায় সর্বসাধারণকে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে এসব এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ব্যাকপ্যাক, হ্যান্ডব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, সিগারেট লাইটার বহন পরিহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নগরবাসীর প্রতি এ অনুরোধ জানান।
স্টেডিয়ামে ঢোকার রুট আদেশে জানানো হয়: বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাই দুপুর ২টার পর থেকেই সচিবালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সরকারি অফিস থেকে গাড়ি করে/হেঁটে সমবেত স্থলে জমায়েত হবেন। বিকাল ৪টায় নির্দিষ্ট রুট দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আনন্দ র্যালি স্টেডিয়ামে ঢুকবে। যেসব পয়েন্ট ও রুট দিয়ে চলাচল করবেন-
১। বাংলা একাডেমি ও সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে (১) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, (২) সেতু বিভাগ, (৩) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, (৪) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, (৫) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, (৬) পরিকল্পনা বিভাগ, (৭) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, (৮) বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, (৯) তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ, (১০) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং (১১) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সদস্যরা বাংলা একাডেমি-দোয়েল চত্বর-আব্দুল গণি রোড-জিপিও দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গেটে প্রবেশ করবেন।
২। শিল্পকলা একাডেমি ও মৎস্য ভবনসংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে (১) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, (২) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, (৩) পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, (৪) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, (৫) কৃষি মন্ত্রণালয়, (৬) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, (৭) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, (৮) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, (৯) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, (১০) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, (১১) খাদ্য মন্ত্রণালয় (১২) বিদ্যুৎ বিভাগ এবং (১৩) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সদস্যরা শিল্পকলা একাডেমি-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকাররম-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৩। শিশু একাডেমি ও দোয়েল চত্বরসংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে (১) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, (২) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, (৩) অর্থ বিভাগ, (৪) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, (৫) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, (৬) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, (৭) স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার বিভাগ, (৮) জননিরাপত্তা বিভাগ, (৯) সুরক্ষা সেবা বিভাগ, (১০) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, (১১) তথ্য মন্ত্রণালয়, (১২) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, (১৩) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, (১৪) আইন ও বিচার বিভাগ, (১৫) লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং (১৬) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা শিশু একাডেমি-আব্দুল গণি রোড-জিপিও-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৪। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটসংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে (১) স্থানীয় সরকার বিভাগ, (২) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, (৩) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, (৪) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, (৫) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, (৬) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, (৭) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, (৮) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, (৯) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, (১০) রেলপথ মন্ত্রণালয়, (১১) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং (১২) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর গেট (মশাল গেট) দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে(১) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, (২) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং (৩) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থাগুলোর সদস্যরা দোয়েল চত্বর-আব্দুল গণি রোড-জিপিও-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৬। নগরভবন (ঢাকা দক্ষিণ) সমবেত হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সদস্যরা নগরভবন-গোলাপশাহ মাজার-গুলিস্তান মোড়-রাজউক মোড়-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৭। বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর এলাকায় সমবেত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর-দৈনিক বাংলার মোড়-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৮। রমনাপার্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সমবেত হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সদস্যরা মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকাররম-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর গেট (মশাল গেট) দিয়ে প্রবেশ করবেন।
৯। শিল্পভবন চত্বরে সমবেত হয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সংস্থাসমূহের সদস্যরা শিল্পভবন-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।